একদিনে ২৬১ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৪২১ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ১৩৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৪ জন। মৃত ২৬১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫২ জন ও ১০৯ জন নারী।

এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) শনাক্ত হয়েছিল ১২ হাজার ৬০৬ জন। এদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৪৮ জনের।

শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭০৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫২১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩১ হাজার ৭০৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৭১৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৭টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৪৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে আট জন, খুলনা বিভাগে ৪৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে সাত জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৭২ জন এবং বাড়িতে তিনজন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আট জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৬ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে নয় জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ৪১০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৭৭৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৪৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ৩২ হাজার ৮৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৮ হাজার ৬৫৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।