লকডাউনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সরকার ঘোষিত লকডাউনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। এ সময় মারধরের ঘটনাও ঘটায় তারা।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- খলিল আনসারীর ছেলে জয়নাল আনসারী (৩০), নাসির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৪) ও আব্দুল আজিজের ছেলে জাহিদ (২০)।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের ছাতড়া বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় হামলার শিকার শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মেহেদী ১২ জন নামীয় ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায়, শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মেহেদী ও কনস্টেবল মাসুদ রানা ছাতড়া বাজারে লকডাউনের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় আনসারী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট খোলা রেখে ভিতরে চেয়ার-টেবিলে খাবার পরিবেশন করায় তাদের নিষেধ করে চলে যায় পুলিশ। পরে আবার এসে একই ঘটনা দেখে চেয়ার-টেবিল গুটিয়ে নিতে বলে পুলিশ।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে হোটেলের মালিক খলিল আনসারী ও তার ছেলেরা। এর কিছুক্ষণ পর সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় কিল-ঘুষি ও লাঠিও ব্যবহার করে তারা। তাদের উপর্যুপরি আঘাতে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নওগাঁ পুলিশের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, মান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা এসআই চিত্তরঞ্জন।

এ সময় ঘটনার সত্যতায় খলিল আনসারীর ছেলে জয়নাল আনসারী (৩০), নাসির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৪) ও আব্দুল আজিজের ছেলে জাহিদকে (২০) আটক করে পুলিশ।

ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।