শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে লকডাউন। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। ঢাকায় ফিরতে যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের তাড়াহুড়া লক্ষ্য করা গেছে। জানতে চাইলে ঢাকামুখী অধিকাংশ যাত্রীরাই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,’আরও দুই/একদিন পর থেকে লকডাউন দিতে পারতো সরকার। ঈদের পরের দিনই ছুটতে হচ্ছে ঢাকায়। শুক্রবার খোলা থাকলেও ধীরে-সুস্থ্যে যাওয়া যেতো।’ বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়েছে। সকালের দিকে ঘাট এলাকায় ঢাকাগামী তেমন যাত্রীচাপ ছিল না। দুপুরের পর থেকেই উপচে পড়া ভিড়।
লঞ্চে যাত্রী এবং ফেরিতে যাত্রীবাহী ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে। ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নৌরুটে ১৪ টি ফেরি চলাচল করছে। নৌরুটে ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বেশির ভাগই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল। নৌরুটে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। ফলে ঘাটে গাড়ির চাপ বেশি। এদিকে বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটে কোন স্বাস্থ্যবিধি নেই। ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের কথা থাকলেও লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান। বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কর্মস্থলমূখী যাত্রীদের ভীড় বেড়েছে ঘাটে। তবে এখনো ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এখন উভয়মুখী চাপ ঘাট এলাকায়। বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন,’দুপুরের পর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এছাড়া সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপও রয়েছে।’
