কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করেছে। এসব স্থানকে পশু কোরবানি এবং কোরবানিদাতাদের অবস্থানের উপযোগী করে তোলা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণের সুবিধা অনুযায়ী একাধিক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ডে চার-পাঁচটি স্থানও পড়েছে। এসব স্থানে ত্রিপল টাঙ্গানো হবে। পশু জবাইয়ের জন্য প্রতিটি স্থানে চসিক নিযুক্ত ইমাম থাকবেন। এছাড়া কোরবানিদাতার বসার ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ এবং ব্লিচিং পাউডার মজুদ থাকবে। আমরা নগরবাসীকে এসব স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পুরাতন নগর ভবন কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে চসিকের সুনাম রয়েছে। সকলের আন্তরিকতার কারণে এই সুনাম অর্জিত হয়েছে। আমি চাই এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। এতে পর্যাপ্ত জনবল, ওয়াকিটকি, গাড়ি, কন্টেইনার মুভার ও টমটমসহ যা যা প্রয়োজন সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। কোনও অজুহাত আমি শুনবো না।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল বারেক, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এসরারুল হক, মো. ইলিয়াছ ও চসিক উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী।