সিআরবি রক্ষার জন্য আমরা সব কিছু করব

সিআরবিকে নগরবাসীর নিশ্বাসের জায়গা উল্লেখ করে খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. অনুপম সেন বলেছেন, আমরা প্রতিজ্ঞা করছি এখানে হাসপাতাল হতে দেব না। প্রয়োজনে অনশন থেকে শুরু করে যা কিছু করার সব আমরা করব।

সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় সিআরবিতে ‘নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম’ আয়োজিত প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচিতে এ প্রতিজ্ঞার কথা জানান।

তিনি বলেন, সিআরবি ধ্বংস করতে কখনোই দেব না। আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবো। প্রধানমন্ত্রী প্রকৃতি সচেতন এবং তিনি মানুষের কথা সব সময় ভাবেন। সুতরাং আমি জানি, তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছে। তাঁকে যথার্থ বার্তা দিতে পারলে তিনি নিশ্চয় আমাদের কথা শুনবেন।

‘আমরা বা যেসব রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা তাকে ভুল বুঝিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো। সিআরবি রক্ষা চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি। ’ যোগ করেন ড. সেন।

স্মৃতিচারণ করে ড. সেন বলেন, এ শহরে একসময়ের যে প্রাকৃতিক সুন্দর ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা ছিল কোনোটিই এখন আর নেই। এমনকি চট্টগ্রামের যে পরির পাহাড় বা ফেয়ারি হিল বা কোর্ট বিল্ডিং, একসময় সেখানে উঠলে কর্ণফুলী নদী যে চট্টগ্রাম শহরকে বেষ্টন করে রয়েছে তা দেখা যেত। আজ কিছুই দেখা যায় না। চট্টগ্রাম গাছশূন্য হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন জঙ্গলকে রক্ষায় বিশ্বের অনেক দেশ অর্থ দিয়ে যাচ্ছে কারণ বিশ্বের অক্সিজেনের চাহিদা মেটায় আমাজন। ঠিক সেরকম এ সিআরবিতে অসংখ্য শতবর্ষী গাছ রয়েছে, কত চমৎকার। এ পুরো অঞ্চলটাই মহানগরীর শ্বাসকেন্দ্র। এখানে রয়েছে শহীদ আবদুর রবের বাসা। এ শহীদ আবদুর রবের সঙ্গে ১৯৭১ সালের এপ্রিলে কানুনগোড়ায় দেখা হয়েছিল। তখন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের জিএস। আমি বলেছিলাম- রব তুমি সাবধানে চলাফেরা করো। শহরে যাচ্ছ বলছো, সাবধানে যেও। সে আমাকে বলেছিল, স্যার আপনি সাবধানে থাকবেন। দুঃখের বিষয় সেই রব শহীদ হয়েছিল। সেই শহীদের জায়গা এ সিআরবি।

এখানে কখনোই প্রফিটের জন্য পিপিপি একটা আমরা করতে দিতে পারি না। বাংলাদেশের সবাই জানেন এ হাসপাতালটি কী রকম ভাবে মৃত মানুষ গেলেও অর্থ আদায় করে। এ চমৎকার জায়গায় মহানগরীর প্রকৃতির সবচেয়ে মনোরম কেন্দ্রে হাসপাতাল করতে আমরা কখনোই দেব না। এটিকে ধ্বংস করতে দেব না। তরুণ প্রজন্ম দেবে না। আমরা যদিও বৃদ্ধ হয়েছি, আমরাও দেব না। আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করব। cxcvx