খাদ্য অধিদপ্তরে ৮ লাখ আবেদনকারীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে নির্দেশ

পাঁচ বছর আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে প্রায় ৮ লাখ আবেদনকারীকে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ওইসব আবেদনকারীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদনের বিষয়টি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। আর ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ২০১৪ সালের খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে প্রায় ৮ লাখ আবেদনকারী ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে কি পারবে না, সে বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরকে সিন্ধান্ত জানাতে হবে।

২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে ১৫ ক্যাটাগরির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৫৯৯ পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। এতে প্রায় ৮ লাখ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের পর দীর্ঘদিন ধরে এসব আবেদনকারী অপেক্ষার প্রহর গুনলেও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনও প্রবেশপত্র পাননি। পরবর্তী সময়ে একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত বছরের ৭ নভেম্বর প্রকাশ করে অনলাইনভিত্তিক আবেদন আহবান করে খাদ্য অধিদপ্তর। এতে নন-গেজেটেড ২৪ ক্যাটাগরিতে পদ বাড়িয়ে ১ হাজার ১৬৬ জন করা হয়।

কিন্তু নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৪ সালে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই বলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদন করা হয়।

কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মো. এনামুল হক সহ ২০১৪ সালের ৪০ আবেদনকারী। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ উপরোক্ত আদেশ দেন।