কাতালগঞ্জে হযরত মৌলভী শেখ দৌলত শাহ (রহ.)’র প্রাচীন মাজারটি ধ্বংসের চেষ্টা, নিন্দা ও প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম নগরীর কাতালগঞ্জে আবাসিক এলাকার ৩ নং রোডস্থ মৌলভী বশির উল্লাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন হযরত মৌলভী শেখ দৌলত শাহ (রহ.)’র প্রাচীন পবিত্র মাজার শরীফটি ধ্বংসের চেষ্টা করেছে মসজিদের তথাকথিত মতোয়াল্লি। ৮০ বছেরের পুরানো এই প্রাচীন মাজার শরীফটির প্রথমে পাকা গুবম্বুজটি ধ্বংস করেফেলে। পরে কয়েকদিনের বিতরে মাজার শরীফের মুল রওজা শরীফটি ভেংগে ফেলে। বাহিরে টিনের বেড়াদিয়ে কৌশলে মাজার শরীফটি ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্তহন মাজার শরীফ বিরোধী এই ওয়াহাবী হেফাজতি তথাকথিত মসজিদের মতোয়াল্লি। বার আউলিয়ার পবিত্র ভুমি খ্যাত চট্টগ্রামে এই ধরনের মাজার শরীফ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করে, দ্রুত পবিত্র মাজার শরীফটি পুনঃসংস্কার ও মাজার শরীফ ধ্বংসকারীকে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবী করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দরগাহ মাজার সংস্কার সংরক্ষণ কমিটি ও বাংলাদেশ মুসলমান ইতিহাস সমিতি। সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সউম আবদুস সামাদ, এডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, এইচ এম কফিলুদ্দিন, অধ্যাপক মৌলভী মোহাম্মদ মুছা কলিমুল্লাহ, মাজার সংস্কার সংরক্ষণ কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মাওলানা মোহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন, বাংলাদেশ মুসলমান ইতিহাস সমিতির সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মৌলভী ইউনুস কুতুবী, একেএম আবু ইউসুফ, ডা. মীর হোসেন, কাজী আরফাত হোসেন রশিদাবাদি, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, খোন্দকার ফসিহুল হক, নাজমুল হক শামীম, ইমাম মাওলানা আবদুল হালিম, সাফাত বিন সানাউল্লাহ, সুফি এস এম ফারুক প্রমুখ এক যুক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ন্যাকার জনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্য মাজার শরীফ ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় আনার আহবান জানান। বিবৃতিতে বলা হয় বার আউলিয়ার পূন্যেভুমি চট্টগ্রামে ৮০ বছরের পুরানো মাজার শরীফ ধ্বংসের বিষয়টি রোববারে চট্টগ্রামের মাননীয় জেলাপ্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় আইনমন্ত্রী, মাননীয় ধর্ম মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবরে পৃথক পৃথক স্মারক লিপি প্রদান করা হবে।