বোয়ালখালীঃসংবাদদাত্
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা যুদ্ধকালীন সময়ে বোয়ালখালীতে প্রতিদিন বাংলার তরতাজা প্রাণ অনেক যুবককে হত্যা করে উপজেলা টর্চারসেল,গোমদন্ডী বনখালী ঘাট, কধুরখীল দারোগা বাড়ী, পূর্বকালুরঘাট, মিলিটারীপুলসহ একাধিকস্থানকে মৃত্যুপুরী বানিয়েছিল।
গত ২৬ মার্চ প্রায় ৪২ বছর পর কানাডা থেকে দেশ এসে ১৯৭১ সালে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর কর্তৃক হত্যাযজ্ঞ করা বোয়ালখালী উপজেলার স্থান গুলো পরিদর্শন কালে ঐ সময় হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ এ কথা বলেন।
তিনি অারো বলেন- পাকিস্তানীদের হাতে অাটক হওয়া যুবকরা পরদিন অারেক বার সূর্য় অস্ত যাবে বা উদিত হবে তা দেখার অাশা করতে পারতো না।
তাদের হত্যাযজ্ঞে শহীদ ওয়াজেদসহ শত শত বল ও বীর্যবান যুবকদের প্রাণ দিতে হয়েছে। এছাড়া যুদ্ধচলাকালিন সময়ে অত্যাচারী এ বাহিনীর হাতে প্রতিনিয়ত ইজ্বত ও সম্ভ্রম হারিয়েছে অনেক মা-বোন।
এ লোমহর্ষক ঘটনার চিত্র চোখে এখনো ভাসে। পাকিস্তানী এ হিংস্রবাহিনীকে সহায়তাকারী রাজাকাররা যে এখনো দেশে বীরদপে চলছে এ কথা শুনলে বা দেখলে নিজেকে বড় পাপী মনে হয়।
এসময় যুদ্ধচলাকালীন শহীদ হওয়া ও বলিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা মোঃ অাজীজ উদ্দিন কমান্ডার,মুক্তিযোদ্ধা বাহাদুর অালম,মোঃ ছৈয়দ অালম,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা অাহম্মদ মিয়া, শহীদ ওয়াজেদ এর ছোট বোন মোছাম্মৎ জেবুনেছা, মুক্তিযোদ্ধা হাজী অাবুল কালাম প্রমুখ। পাকিস্তানী বাহিনীর তান্ডবস্থল কধূরখীল দারোগাবাড়ী, শহীদ ওয়াজেদ এর বাড়ী এলাকা পরিদর্শন করেন তারা।