ঢিলেঢালা লকডাউন: ফটিকছড়ি-রাউজান সীমান্তে যান চলাচলে প্রতিরোধে ব্যরিকেট

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষায় ফটিকছড়িতে লকডাউন ঘোষনা করলে ও ফটিকছড়িতে চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন হাট বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলা অবাধে চলাচল করছে যানবাহন । ফটিকছড়িতে হাট বাজারে মুখে মাস্ক ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্টানে ক্রেতা বিক্রেতারা কেনা কাটা করছে । সড়কগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মুখে মাক্স ছাড়া যানবাহনের চালক চালাচ্ছে যানবাহন । যানবাহনের যাত্রীদের মুখেও নেই মাক্স । ভারত সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়িতে করোনার সংক্রমন বেশী হলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ফটিকছড়ি উপজেলাকে গত ২৩ জুন বুধবার থেকে লকডাউন ঘোষনা করে। লকডাউন চলাকালে ঔষধের দোকান, কাচাঁবাজার ব্যতিত সকল ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্দ্ব রাখার নির্দেশ দেয় সড়ক দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী, খাদ্য পরিবহন, ঔষধ পরিবহন, সাংবাদিক পুলিশ সহ আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া সকল ধরনের যানবাহন চলাচল নিষ্দ্বি করা হয় । শুধুমাত্র আন্তঃ জেলা যাত্রীবাহি বাস চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি । করোনার ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষায় ফটিকছড়িতে লকডাউন ঘোষনা করা হলে ও ফটিকছড়ির নানুপুর বাজার, আজাদী বাজার, সমিতির হাট, রমজুর হাট, শ্যমলা হাট, ক্ষিরাম বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায় লকডাউন অমান্য করে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলা রেখেছে ব্যবসায়ীরা । ব্যবসা প্রতিষ্টানে ক্রেতা ও বিক্রেতারা মুখে মাস্ক না লাগিয়ে কেনাকাটা করছে। সড়কগুলোতে মুখে মাস্ক না লাগিয়ে সি, এনজি আটোরিক্সা, জীপ, ট্রাক চালাচ্ছে চালকেরা । সিএনজি অটোরিক্সা ও বিদ্যুৎ ব্যবহৃত ব্যাটারী চালিত রিক্সায় ও চালক যাত্রীদের মুখে নেই মাক্স । শত শত মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীরা মুখে মাক্স ছাড়া মোটর সাইকেল চালিয়ে বেড়াচ্ছে । ফটিকছড়িতে করোনার সংক্রমন বেশী হওয়ায় লকডাউন দেওয়ায় ফটিকছড়ি- রাউজান উপজেলা সীমান্তের হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তায় রাউজান উপজেলা সীমনায় দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরীর সড়কের উপর কাঠের গুড়ি দিয়ে সড়কে ব্যরিকেট দিয়েছে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। ফটিকছড়ি – রাউজান উপজেলার সীমানা উত্তর সর্তায় দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কে রাউজানের চিকদাইর পুলিশ ফাড়ীর পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় । ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রী নিয়ে রাউজান ফটিকছড়ি সীমানা রাউজানের উত্তর সর্তা এলাকায় এসে রাউজান থানা পুলিশ ও এলাকার মানুষের প্রতিরোধের মুখে রাউজানের সীমনায় প্রবেশ করতে পারছেনা । সিএনজি অটোরিক্সা থেকে নেমে যাত্রীরা পায়ে হেটে কিছুদুর এসে রাউজান সীমনায় পৌছে সিএনজি অটোরিক্সায় করে রাউজান উপজেলার উপর দিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায় । ফটিকছড়ি- রাউজান উপজেলার সীমনায় উত্তর সর্তা এলাকায় তকির হাট সড়কে ও হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সড়কে ব্যরিকেট দিয়ে ফটিকছড়ি থেকে কোন যানবাহন রাউজানে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। রাউজান থেকে কোন যানবাহন ফটিকছড়ি এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা । রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া হচ্ছার ঘাট এলাকায় সীমানতবর্তী ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে কোন লোকজন রাউজান সীমনায় প্রবেশরোধে হলদিয়া ভিলেজ রোডে দেওয়া হয়েছে ব্যরিকেট । রাউজান উপজেলার ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া গণির ঘাট এলাকার পাশ^বর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার আবদুল্ল্রাহ পুর ইউনিয়ন । ফটিকছড়ি উপজেলার আবদুৃল্ল্রাহ পুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে কোন যানবাহন রাউজান উপজেলা সীমনায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা । ফটিকছড়ি থেকে কোন যানবাহন রাউজান উপজেলার মধ্যে প্রবেশরোধে পশ্চিম ডাবুয়া গনির ঘাট এলাকায় গনির ঘাট সড়কে কাঠের গুড়ি দিয়ে সড়কে ব্যরিকেট দিয়েছে ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় এলাকা বাসী । রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর এলাকার উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলার তকির হাট । নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার রাউজান – ফটিকছড়ি উপজেলার সীমনা নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহ নগর নাপিতের ঘাট এলাকায় অদুদিয়া সড়কে কাঠের গুড়ি দিয়ে সড়কে ব্যরিকেট দিয়ে ফটিকছড়ি থেকে কোন যানবাহন রাউজান উপজেলার সীমানায় ও রাউজান উপজেলা থেকে ফটিকছড়ি এলাকায় কোন যানবাহন চলাচল করতে প্রতিরোধে করছে । নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহ নগর নাপিতের ঘাট এলাকায় রাউজান থানা পুলিশ, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের চৌকিদার যানবাহন চলাচলরোধে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় । রাউজান উপজেলার সাথে ফটিকছড়ি উপজেলার সংযোগ সড়কে ব্যরিকেট দিয়ে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্দ্ব করা হলে ও রাউজান থেকে ফটিকছড়ি যাওয়া যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে পায়ে হেটে প্রতিবন্দ্বকতা এলাকা পার হয়ে ফটিকছড়ি সীমনায় দাড়িয়ে থাকা সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যটারী চালিত রিক্সায় করে যাত্রীরা চলাচল করতে দেখা যায় । ফটিকছড়ি বিভিন্ন এলাকা থেকে সি, এন, জি অটোরিক্সা ও ব্যাটারী চালিত রিক্সায় করে আসা যাত্রীরা প্রতিবন্দকতা এলাকা পায়ে হেটে পার হয়ে রাউজান উপজেলার সীমনায় এসে সিএনজি অটোরিক্সায় করে রাউজান উপজেলার উপর দিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায় । এছাড়া ও ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষিরাম ও ফটিকছড়ির আধার মানিক হয়ে রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা হজরত আলী হোসেন শাহ সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেল করে ফটিকছড়ি ও রাউজানের লোকজন চলাচল করছে । রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলায় লকডাউন ঘোষনা করার পর ফটিকছড়ি উপজেলার সাথে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের যে সব এলাকা রয়েছে ঐ সব এলাকায় সড়কে ব্যরিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্দ্ব করে দেওয়া হয়েছে । রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার সাথে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে যাওয়া সড়কগুলো ব্যরিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্দ্ব করে দেওয়া হয়েছে । রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুন বলেনম ফটিকছড়ি উপজেলা ও রাউজান উপজেলা সীমানায় ফটিকছড়ি থেকে যানবাহন ও কোন লোকজন রাউজানে প্রবেশ, রাউজান থেকে কোন যানবাহন ও লোকজন ফটিকছড়িতে প্রবেশ করতে না পেরে সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন ।