কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাঈমুল হককে লাঞ্ছিত করেছেন অধীনস্থরা। এর প্রতিবাদে আগামী বুধবার আধাবেলা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নগরীর পাহাড়তলীতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এর কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে চারজন ওয়েম্যানসহ ছয় জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে রেললাইনে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা ওয়েম্যানদের কাজ ফেলে মিছিলে যেতে বাধ্য করেন রেলওয়ে শ্রমিক লীগের এক নেতা। কর্মস্থল থেকে ছুটি না নিয়েই মিছিলে যেতে বাধ্য হন তারা।
সোমবার বেশ ক’জন ওয়েম্যানকে কর্মস্থলে না পেয়ে তাদের অনুপস্থিত দেখানোর আদেশ দেন বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাইমুল হক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে ওয়েম্যানরা বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়। খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) দফতরে জরুরি বৈঠকে বসেন কর্মকর্তারা। রাত ৮টায় বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি দায়ী অন্যদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জিএম সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, ওয়েম্যান অতিগুরুত্বপূর্ণ পদ। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তাদের সার্বক্ষণিক রেললাইনে কাজ করতে হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে তাদের মিছিলে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বুধবার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন