অলৌকিক মশায় ডেঙ্গু ঝুঁকি কমলো ৭০ শতাংশ

অলৌকিক মশায় ডেঙ্গু ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমেছে। ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগাত্রা শহরে বিশেষ এই মশার মাধ্যমে পরীক্ষা চালিয়ে ডেঙ্গু কমার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার কাজে এমন সব মশাকে ব্যবহার করেছেন, যেগুলো এক ধরনের আলৌকিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ছিল। এই ব্যাকটেরিয়া মশা কিংবা পোকামাকড়কে ডেঙ্গু জীবানু বহনের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এই গবেষণার সফল পরীক্ষার ফলে গবেষকরা আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে বিশ্ব থেকে ডেঙ্গু নির্মুল করার দ্বার উন্মোচন হবে।এই আলৌকিক ব্যাকটেরিয়ার নাম ওলবাচিয়া। গবেষক ড. কাটি অ্যানড্রেসের মতে এটি প্রকৃতিগতভাবেই আলৌকিক সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। এটি মশার কোনো ক্ষতি করে না, তবে এটি মশার শরীরে এমন এক জায়গায় অবস্থান নেয়, যে জায়গাটায় ডেঙ্গু ভাইরাস অবস্থান নেয়। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডেঙ্গু ভাইরাসের সেখানে অবস্থান করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে সেসব মশায় ডেঙ্গু বহনের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।দ্য ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রাম জানিয়েছে, মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে এই পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে ব্যবহার শুরু করতে হবে।৫০ বছর আগেও ডেঙ্গু ভাইরাস স্বল্প পরিচিত ছিল, কারণ তখন এটি কিছু কিছু জায়গায় সীমাবন্ধ ছিল। আজ এটি মহামারীর মতো রূপ নিয়েছে। সারা বিশ্বেই ডেঙ্গুর কারণে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং এর ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। ১৯৭০ সালে কেবল ৯টি দেশে ডেঙ্গু সীমাবদ্ধ ছিল। আর বর্তমানে সারা বিশ্বের ৪০০ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে।