গার্মেন্টস কর্মীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে হাবিবুর রহমান (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৬ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর।
গ্রেফতার হাবিবুর রহমান চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার শোরসই এলাকার ইব্রাহীম মিজি বাড়ির শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের চকবাজার থানার ডিসি রোড কালাম কলোনি লাল মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এ সময় একটি অ্যানড্রয়েট মোবাইল ফোনের সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
থানার মামলার এজার সূত্রে জানা যায়, নাফিজা (ছদ্মনাম) নগরের একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। গ্রেফতার হাবিবুর রহমান ও নাফিজা পাশাপাশি নগরের চকবাজার থানার ডিসি রোড কালাম কলোনিতে বসবাস করতেন। সেই সুবাদে নাফিজার সঙ্গে হাবিবের পরিচয় ঘটে এবং মাঝেমধ্যে হাবিব বিভিন্ন অজুহাতে নাফিজার বাসায় যাওয়া আসা করতেন। প্রায় সময় গার্মেন্টেসে যাওয়ার পথে নাফিজাকে হাবিব দৈহিক মিলনের কু-প্রস্তাব দিত। গত মঙ্গলবার ( ১ জুন) রাত ১০টার দিকে নাফিজা ঘরের ভেতর খাওয়া দাওয়া শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ ঘরের দরজা নাড়ার শব্দ শুনে ঘরের দরজা খুলে দেখেন হাবিবুর রহমান বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কী কারণে দাঁড়িয়ে আছেন নাফিজা জিজ্ঞাসা করলে হাবিব একান্ত কিছু কথা ও দৈহিক মিলনের কু-প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হলে হাবিব মোবাইলে একটি অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি দেখায়। গরমের দিনে বাসায় প্রচণ্ড গরম অনুভব করার কারণে নাফিজার অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি গোপনে মোবাইলে ধারণ করেছিল হাবিব। এ সব ভিডিও ও ছবিগুলো দেখানোর পরে নাফিজাকে হুমকি দিয়ে বলে যে, তার সঙ্গে দৈহিক মিলন না করিলে তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ও ছবিগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর জানান, গরমের দিনে বাসায় গার্মেন্টস কর্মীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছিল আসামি। একপর্যায়ে গত ১ জুন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঐ নারীকে কু-প্রস্তাব দেন।
পরে ঐ নারী ঘটনাটি থানাকে জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঐ নারী পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)(২) ধারায় মামলা করেছেন।
