শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই দায়িত্ব নিচ্ছি: নুর

আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে নির্বাচিত নেতারা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে ভিপি নির্বাচিত হওয়া নুরুল হক নুরও এদিন দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নুর বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই দায়িত্ব নিচ্ছি।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে এবং আমরাও তাতে একাত্মতা পোষণ করেছি। আর আগামীকাল ডাকসু নেতাদের অভিষেক হতে যাচ্ছে। সেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিচ্ছি। পুনঃনির্বাচনসহ শিক্ষার্থীদের অন্যান্য যে সমস্যা রয়েছে সেটি সমাধান করব। আমাদের নিয়মতান্ত্রিক যে আন্দোলন রয়েছে সেগুলোও চলবে।’
নব নির্বাচিত এই ভিপি বলেন, ‘২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। এর মাধ্যমে আমরা দেখেছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু ধারার নির্বাচনের পরিবর্তে পেশিশক্তির রাজনীতি। সেই জায়গা থেকে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অতি দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানাই।’

নুর আরও বলেন, ‘সারা দেশের মানুষের কাছে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যেমন প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তেমন নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। সমগ্র জাতির প্রত্যাশা ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি নির্বাচন হবে, যেটি পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু আমরা দেখলাম প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নবিদ্ধ হলে পুরো বাংলাদেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
শনিবার ভিপির দায়িত্ব নিচ্ছেন নুর
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মেনডেটকে প্রাধান্য দিয়েই দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মারামারি-হানাহানি হয় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ না থাকার কারণে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি