বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধুমাত্র ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান নয়, গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নির্বাচনের পরও দেশে গণতন্ত্র চর্চা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানান।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের লেকশর হোটেলে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাদের সবাইকে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও সমান উদ্যমে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র শুধু ভোটের দিন নয়, প্রতিদিন রক্ষা করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র সংহত করতে সাংস্কৃতিক সহনশীলতা, ভিন্নমতকে সম্মান এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। শুধু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না; শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান যেমন বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম ও সংসদকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন এবং বলেন, তাদের ত্যাগ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের পথে বড় প্রেরণা।
তিনি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও সতর্ক করে বলেন, শেখ হাসিনার রায়ের সময় যে মবোক্রেসি হয়েছে, তা জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য কিছু মহল করেছে। বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়; আমরা সব ধর্ম ও মতের মানুষকে নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়নি, দোলাচল চলছে। তবে নির্বাচনই শেষ কথা নয়, বরং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশ একটি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে।











