৬১০ জন দুস্থকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ

৬১০ জন দুস্থ কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে লকডাউনে নগরের ৬১০ জন দুস্থ শিল্পী, অসচ্ছল নির্মাণশ্রমিক, ভ্যানচালক ও দিনমজুরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ৬১০ প্যাকেট উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জামালখানের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম।

প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৮ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টি সাবান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়া ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার ও নাট্য ব্যক্তিত্ব তাপস শেখর দাশ। স্বেচ্ছাসেবক টিম বেটার ফিউচার বাংলাদেশ উপহার সামগ্রী বিতরণ কাজে সহযোগিতা করে।

বদিউল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালে দুস্থ শিল্পী, কলাকুশলী, অসচ্ছল নির্মাণশ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, বেদে ও অন্যান্য শ্রেণি-পেশার কর্মহীন মানুষকে ত্রাণের আওতায় আনতে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। লকডাউনে কর্মহারা কেউ সরকারি ত্রাণ পাওয়া থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা চাই এ পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবে না। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে লজ্জাবোধ করে সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে টেলিফোন ও এসএমএস করছেন তাদের বাসা-বাড়িতে উপহার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মহামারি করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে মাস্ক পরার পাশাপাশি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে একজন আরেকজনের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।