বাড়িতে গুগল দেখে অক্সিজেন তৈরির চেষ্টা করছেন ভারতীয়রা

ভারতে কোভিড ঝড়ের কারণে অক্সিজেনের জন্য চলছে হাহাকার। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রচেষ্টার মধ্যেও হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এরমধ্যে প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে প্রায় সব রাজ্যে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়েছে। এ অবস্থায় ‘অক্সিজেনের অভাব কীভাবে মিটবে’, ‘বাড়িতেই কি অক্সিজেন তৈরি করা সম্ভব’, ‘কীভাবে ঘাটতি মিটবে’—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে গুগলের শরণাপন্ন হচ্ছেন ভারতের মানুষ। গুগল সার্চে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে ‘হাউ টু মেক অক্সিজেন অ্যাট হোম।’

গত শুক্রবার সকাল থেকেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ‘হাউ টু’ শব্দ দুটি ব্যবহার করে অক্সিজেন–সংক্রান্ত নানা তথ্য খোঁজার চেষ্টা করেছেন ভারতের মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে, বাড়িতে কীভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার তৈরি করা যাবে, এই প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে এর ‘সার্চ ভ্যালু’।
নির্দিষ্ট সময় কোনোও বিষয় কত বেশিসংখ্যক মানুষ সার্চ করছেন, তার ওপর একটা মূল্য নির্ধারিত হয়। এর নাম ‘সার্চ ভ্যালু’। দেখা যায়, গত শুক্রবার এ প্রশ্নের সার্চ ভ্যালু ১০০ হয়ে যায়। সপ্তাহখানেক আগে, অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল নাগাদ যার সার্চ ভ্যালু ছিল ১০-১৩। অক্সিজেন তৈরির আগ্রহ সবচেয়ে বেশি গুজরাটের মানুষের। সেখানে সার্চ ভ্যালু ৭০। এরপরই তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ। এই তিন রাজ্যে প্রশ্নটির সার্চ ভ্যালু যথাক্রমে ৫৫, ৪৯ ও ৪৬।

কীভাবে অক্সিজেন তৈরি করা যাবে, এ প্রশ্নের সার্চ ভ্যালুও দিনকে দিন বেড়েছে। শুক্রবার সার্চ ভেল্যু ছিল ৩৬। সপ্তাহখানেক আগে এ প্রশ্নের সার্চ ভ্যালু ছিল ৫-এর কাছাকাছি। এ ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে গুজরাটে (৮৭)। তারপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র (৬১) ও উত্তর প্রদেশ (৫৫)। বিষয়টি প্রথম সবার সামনে আনেন ফাউ–জি (FAU-G) গেমের ডেভেলপার বিশাল গোন্ডাল। তিনি ফিটনেস ব্র্যান্ড গৌকি ও এনকোর গেমসের প্রতিষ্ঠাতা। একটি টুইট করে ‘কীভাবে বাড়িতে অক্সিজেন তৈরি করবেন’, তার গুগল সার্চের বিষয়টি স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। আপনারা চাইলেও নিজে থেকে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তার জন্য গুগলে গিয়ে ‘হাউ টু’ লিখে সার্চ করলেই দেখতে পাবেন, প্রথমেই আপনাকে ‘হাউ টু মেক অক্সিজেন’ এবং তার ঠিক পরেই ‘হাউ টু মেক অক্সিজেন সিলিন্ডার’ দেখানো হচ্ছে।

ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, অনেকেই অক্সিজেন বানানো শিখছেন যাতে করে অতিরিক্ত কিছু অর্থ আয় করা যায়। কিন্তু একইসঙ্গে এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতে অক্সিজেন স্বল্পতা কী পরিমাণ ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।