পেকুয়ায় করোনা টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার

সারাদেশে করোনা আবারো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগী। মৃত্যুর সংখ্যা আতংক ছড়াচ্ছে সর্বস্থরের জনগণের মাঝে। ভয়াবহ আতংকের মাঝে সরকার আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। দিয়েছে ১৮টি সরকারি নির্দেশনা। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রতিদিন সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ছাড়াও মাস্ক পরিধান না করায় জরিমানা অব্যাহত রেখেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের পেকুয়ায়ও করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম করোনা আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় আছেন।
সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সামনের দিনগুলোতে আরো ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে এমন অভিমত সুশীল সমাজের।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, করোনা শুরুর পর পেকুয়ায় আজ পর্যন্ত (৩এপ্রিল) নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭৭৪ জনের। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২১৫ জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ২ জন রোগী। বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭জন। রোগী ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে গত সাত ফেব্রুয়ারি ২০২১  হতে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মুজিবুর রহমান বলেন, পেকুয়া উপজেলায় সর্বশেষ মতে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৪ হাজার নারী পুরুষকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নেতৃত্বে  কোভিড- ১৯ টিকা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমেও সাধারণ জনগণ টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। আগামী ৭ এপ্রিল ২য় ডোজের কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন,  প্রত্যেক দিনই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই। বিনা প্রয়োজনে ঘর হতে বের হওয়ার দরকার নেই। একান্তই বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরে বের হবেন। আগের মত ঘনঘন সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। সামান্য জ্বর সর্দি কাশি আর গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের  জন্য হাসপাতালে আসার দরকার নেই। প্রয়োজনে আমাদের হট লাইনে(০১৭৩০৩২৪৮৪৩) ফোন করে সরকারি বিসিএস ডাক্তার রের পরামর্শ নিন। যাদের করোনা উপসর্গ আছে তারা সকাল এগারোটার মধ্যে সরকারি হাসপাতালের নিচতলায় করোনার স্যাম্পল কালেকশন বুথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে নমুনা দিয়ে যাবেন। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বাসায় আলাদা থাকুন। আর  চল্লিশোর্ধ যারা এখোনো টিকা নেননি, তারা দয়া করে আইডি কার্ড নিয়ে হাসপাতালে এসে টিকা নিয়ে নেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হঠাৎ করে আমার ছোট সন্তান আফিফসহ আমি করোনায় আক্রান্ত হয়। সুস্থ হয়ে টিকা গ্রহণ করেছি। বর্তমানে এমপি মহোদয় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেই কেউ আক্রান্ত হতে পারি ভয়াবহ এ রোগে। পেকুয়াবাসীকে নিয়মিত মাস্ক পড়া ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার আহ্বান জানান তিঁনি।