
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের পুর্নগ্রাম বনবিটস্থ গামারি ঘোনা ঝিরি এলাকায় ৫ দিন ধরে গুলিবিদ্ধ মৃত বন্য হাতি উদ্ধারে বনবিভাগের গড়িমসির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহষ্পতিবার বন্য হাতিটি মারা গেলেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত তেমন একটা উদ্ধার তৎপরতা দেখা যায়নি।
জানা যায়, সদর উপজেলার ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের পুর্নগ্রাম বনবিটের ভিতরে প্রতিদিন হাতির পাল বিচরন করে।
এ হাতির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একটি চক্রের। এই চক্রটি বনের ভিতরে গিয়ে একটি হাতিকে গুলি করে। গুলিবৃদ্ধ হাতিটি পুর্নগ্রামের গামারি ঘোনা ঝিরিতে গিয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাতির শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির দাগ রয়েছে। অপরদিকে বন্য হাতি শিকারীরা দাঁত সংগ্রহের হাতিকে গুলি করতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।
তাদের দেয়া ভাষ্য মতে হাতিটিকে ঐ চক্র গুলি করে আহত করার কারণে মৃত্যু হয়েছে।
পরে হাতিটি ঝিরিতে গিয়ে পড়ে এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের কালাপাড়া গ্রামের বাবুল (৩৫) ও আরাফাতুল ইসলাম প্রকাশ সোনামিয়া (৩০) হাতিকে গুলি করে। আহতাবস্থায় ঝিরিতে পড়ে গেলে হাতিটির মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ভোমরিয়া ঘোনা ও ফুলছড়ি রেঞ্জ যৌথভাবে ২২ মার্চ সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তারা বলছেন,হাতিটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগেও একই এলাকায় বন্যহাতি গুলিতে মারার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, মৃত হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গায়ে গুলির দাগ রয়েছে। আমরা আসামী সনাক্ত করছি এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।











