নিউজ ডেস্ক: লাকসাম থেকে অষ্টম শ্রেণি এক ছাত্রীকে অপহরণের ৩৭ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এয়াকুব আলী মিন্টু ওরফে মিলন, জেসমিন, আফরোজা আক্তার আশা ওরফে সুমি এবং মো. আবদুল মোমিন।
গ্রেপ্তার মিলন ফেনী জেলা সদরের নোয়াবাদ গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে ও জেসমিন তার স্ত্রী, সুমি চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার ভাড়াটিয়া বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার চাটমোহর গ্রামের আফজ মন্ডলের মেয়ে এবং মো. আবদুল মোমিন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার মুনসুরপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লার র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, অপহরণকারীরা ওই কিশোরীকে কৌশলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অপহরণ করে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে পাঁচটি চোরাই মোবাইল দিয়ে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। তারা ওই কিশোরীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং ইয়াবা সেবন করিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অপহরণকারী চক্রের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার কিছুদিন আগে এয়াকুব আলী মিন্টু ওরফে মিলন চট্টগ্রাম থেকে লাকসামে গিয়ে ওই কিশোরীর পাশের বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। তারা ওই কিশোরীকে টার্গেট করে তার পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিলন ও তার স্ত্রী বেড়াতে যাবে এবং বিকেলে ফিরে আসবে এমন কথা বলে ওই কিশোরীকে তার বাবা-মার কাছ থেকে নিয়ে বের হয়।
পরে কৌশলে নেশা জাতীয় পানীয় পান করিয়ে লাকসাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। এরপর তারা ওই কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা ৮ ফেব্রুয়ারি লাকসাম থানায় জিডি করে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করে।
শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কিশোরীকে উদ্ধারে আমরা অভিযানে নামি এবং মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান নিশ্চিত হই। বুধবার চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে তারা বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে এভাবে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। অপহরণকারী এ চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
