খাজা গরীবে নেওয়াজ সাম্য-সম্প্রীতি-প্রতিষ্ঠা করেন

নগরীর বলুয়ারদীঘি পাড়স্থ খানকাহ্-এ কাদেররিয়া তৈয়্যবিয়ায় আতায়ে রাসূল খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী সঞ্জরী (রহ:) ওরশ শরীফ উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপনী দিবসে বক্তারা বলেন, হুজুর রাসুলে করিম (দ.) ইশরায় ভারত উপমহাদেশে ইসলামের যে আলো নিয়ে এসেছিলেন তাই শত বছর ধরে পরস্পর বিপরীত মুখী চিন্তা-চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে সাম্য সম্প্রীতি সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করেছে। যার কারণে প্রায় দু’শো বছর ধরে শাসন করছে ইংরেজদের লর্ড কার্জন স্বীকার করেছেন। ভারতের শাসনভার ইংরেজদের কাছে থাকলেও প্রকৃত পক্ষে খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহ.) আমল থেকেই ভারতের রাজত্ব চলে। আর সে কারণেই ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে ঈমানী স্বাদ অর্জনের কর্মসূচি বিতরণ করেন। মুমিন হিসেবে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে উম্মতে মোহাম্মদীকে বাঁচানোর জন্যেই গাউসে পাক গরীবে খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী, হুজুর সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ (রহ.) সিরিকোটি, হুজুর সিরিকোটি হুজুর তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) যে শিক্ষা দিয়েছেন তা এগিয়ে নিতে আনজুমান-জামেয়া-দাওয়াতে খাইর প্রতিষ্ঠা করতে গাউসিয়া কমিটিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান।
গত শুক্রবার বাদে মাগরিব থেকে চট্টগ্রাম বলুয়ারদিঘির পাড় খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহঃ) এর সালানা ওরশ শরীফে বক্তারা উপরোক্ত আহ্বান জানান। খান্কা শরীফ পরিচালনা কমিটির হাজীর নুর আহমদ পিন্টুর সভাপতি ও মোহাম্মদ এরশাদ খতিবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন গাউসিয়া বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ। আলোচনায় অংশ নেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মাওলনা মুহাম্মদ কাশেম রেজা নঈমী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সহকারী মাওলানা মুফতী আব্দুল গফুর রেজভী, মাওলানা আবুল কাশেম, আলহাজ্ব নিয়াজ আহমদ দুলাল, আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ, হাজী সিদ্দিক আহমদ, মোঃ কাশেম, নগর গাউসিয়া কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছাবের আহমদ, গোলাম মহিউদ্দিন, হাজী আব্দুল মান্নান, হাফেজ আবুল হোসেন প্রমুখ। মাহফিলে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন হাজী ইসমাইল কোম্পানী, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুরুল আজিম, হাজী মঈনুদ্দীন ফারুক, চসিক কর্মকর্তা হাজী মির্জা ফজলুল কাদের, শামসুদ্দীন খান সহ উত্তর দক্ষিণ মহানগর গাউসিয়া কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ। দিনব্যাপী মাহফিলে কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র খতমে কুরআন, নাতে রাসূল (দ.), খতমে গাউসিয়া, খতমে খাজে গান, পবিত্র সালাতুস সালাম ও আখেরী মুনাজাত শেষে তবারুক বিতরণ করা হয়।