তেলবাহি ওয়াগন দূর্ঘটনায় সিলেটের সাথে এখনো রেল যোগাযোগ বন্ধ

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁয়ের গুতিগাঁওয়ে লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধারে আরও অন্তত ছয় ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে চট্রগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে আসা তেলবাহি ট্রেনের ২১টি লরির মধ্যে ১০টি লাইনচ্যুত হলে তেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।

তেলবাহি ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক উপেক্ষা করেও হাড়ি-পাতিল, বালতি ড্রাম নিয়ে তেল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ভোর রাত পর্যন্ত দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন থেকে লোকজন তেল সংগ্রহ করছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পরে গভীর রাতে উদ্ধার কাজ শুরু করে কুলাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে আসা ৩ সদস্যের দল। শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত লাইনচ্যুত তেলবাহি ১০টি লরির মাত্র ১টি উদ্ধার করতে পেরেছেন তারা।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্টেন্ট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দুলাল চন্দ্র দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চট্রগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে আসা তেল ট্রেনের ২১টি লরির মধ্যে ১০টি লাইনচ্যুত হয়। সকাল পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে ১টি লরি উদ্ধার করতে পেরেছি। বাকিগুলো উদ্ধারে আরও অন্তর ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।

তিনি বলেন, লাইনচ্যুত অবশিষ্ট লরিগুলো উদ্ধারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সকাল পর্যন্ত আন্ত:নগর ৩টি ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। সিলেট থেকে রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আটকে পড়ার পর সকালে পুনরায় যাত্রী নিয়ে সিলেটে ফিরে যায়।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা থেকে আসা আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস কুলাউড়ায় ও চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীমঙ্গলে আটকা পড়েছে। রেলপথ স্বাভাবিক হতে কতটা সময় লাগবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন, তেলবাহি ট্রেনটি ২১টি লরি নিয়ে আসছিল। এরমধ্যে ১০টি লরি লাইনচ্যুত হয়ে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে। তবে কোনো দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।