দেউলিয়া অবস্থা থেকে ফিরেই একসঙ্গে ৩৬ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে ওয়ানওয়েব

ইন্টারনেট সেবা প্রদানে একসঙ্গে ৩৬ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে স্যাটেলাইট ব্রডব্র্যান্ড কোম্পানি ওয়ানওয়েব।

শুক্রবার রাশিয়ার পূর্ব সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে সয়ুজ রকেটে করে স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে পাঠানো হয়। মহাকাশে পৌঁছাতে এগুলোর সময় লাগে ৪ ঘণ্টা। স্যাটেলাইটগুলো আকারে ওয়াশিং মেশিনের সমান।

চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো রকেট পাঠালো ওয়ান ওয়েব। সব মিলিয়ে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে এখন ১১০টি স্যাটেলাইট আছে তাদের।

তবে এই পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে কোম্পানিটিকে। মার্চে আর্থিক সংকটে পড়ে লন্ডনভিত্তিক ওয়ানওয়েব নিজেদেরকে দেউলিয়া দাবি করে। পরে জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য সরকার ও ভারতীয় কোম্পানি ভারতি গ্লোবাল ৫০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের ফান্ড গড়ে তোলে।

ফলে প্রায় দেউলিয়া অবস্থা থেকে ফিরে একসঙ্গে ৩৬টি স্যাটেলাইট পাঠানোটা ওয়ান ওয়েবের জন্য সাফল্যই বটে। তবে সার্বক্ষণিকভাবে সবার জন্য সর্বত্র ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্য পূরণে আরও অনেক অর্থের প্রয়োজন তাদের। মহাকাশে ৬৫০টি রকেট পাঠানো ও নেটওয়ার্কের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রয়োজন আরও ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড।

ভারতি গ্লোবালের বিনিয়োগের পর ওয়ানওয়েবের নতুন এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এখন সুনিল ভারতি মিত্তাল। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় ফান্ডের অর্থেক আসবে যুক্তরাজ্য সরকার ও ভারতি গ্লোবাল থেকে। বাকি অর্থের জন্য তহবিল জমা করতে হবে।

ওয়ানওয়েব স্যাটেলাইটের কভারেজ সরাসরি পাবে না সাধারণ মানুষ। টেলিকম কোম্পানিগুলোর কাছে এই সেবা বিক্রি করা হবে। টেলিকম কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ইন্টারনেট কিনতে হবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের।

এ বিষয়ে সুনিল ভারতি মিত্তাল জানান, স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল ও হাসপাতালে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।

ওয়ানওয়েব জানিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্কের ল্যাটেন্সি হবে ৫০ মিলিসেকেন্ডের কম। প্রতিসেকেন্ডে ডাউনলোডের গতি হবে ৪০০ মেগাবিটস এবং আপলোডের গতি হবে ১০০ মেগাবিটস।

বর্তমানে ওয়ানওয়েবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেসএক্স। ইন্টারনেট সেবা প্রদানে মহাকাশে হাজারখানেক স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে স্পেসএক্স। ইতোমধ্যে উত্তরগোলার্ধে তারা পলীক্ষামূলকভাবে সেবা প্রদান করছে।