থানার পাঁচশো মিটারের মধ্যে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুট

পেকুয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়া থানার পাঁচশো মিটারের মধ্যে একটি আবাসিক ভবনের ভাড়া বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা লুঠ করেছে ডাকাত দলের তিন মুখোশধারী সদস্য।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনীর উত্তর পার্শ্বে জব্বার ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ভাড়া বাসাটিতে ভবনের বিপরীতে অবস্থিত এস এ এনার্জি গ্যাস পাম্পের কর্মকর্তা কর্মচারীরা থাকেন।
ভবনের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে মুখোশ পরা তিন যুবক ভবনের করিডোর হয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। মাত্র পাঁচ মিনিট পর তারা আবার বেরিয়ে যায়।
ঘটনার সময় বাসায় থাকা গাড়ি চালক সহকারী মিজান বলেন, সিসি টিভিতে ধরা পড়া তিন ব্যক্তি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাতদল মূল দরজা খুলে বাসায় ঢুকে অস্ত্র তাক করে আমাকে জিম্মি করে রাখে। পরে তাদের দুইজন বাসার অপর রুমের (ম্যানেজারের রুম) দরজার তালা কেটে সেখানে ঢুকে নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
ওই ভবনের কেয়ার টেকার শফিউল আলম বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় এক যুবক আমাকে চৌমুহনী স্টেশনে পাইপের ফিটিংস আনতে পাঠায়। দশ মিনিট পর এসে শুনি গ্যাস পাম্পের ম্যানেজার আমির হোসেনের বাসায় ডাকাতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী আমির হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি ব্যবসায়িক কাজে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলাম। বাসায় একটি রুমে ড্রাইভার মোবারক ও হেল্পার মিজান থাকতো। মোবারকের অনুপস্থিতিতে মুখোশধারী ডাকাত দল হেল্পার মিজানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাসায় থাকা গ্যাস বিক্রির নগদ ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ১২৭ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পেকুয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী স্টেশনের পাশে এমন ঘটনায় আমাকে হতবাক করেছে।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল হক বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পাশের বেশ কয়েকটিসহ ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, যেহেতু ঘটনাস্থল পেকুয়া উপজেলা সদরের উপকণ্ঠে, তাই বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। খুব শীঘ্রই আমরা জড়িতদের আইনের আওতায় আনবো।