ভিজিট ভিসায় আমিরাতগামীদের এয়ারপোর্টে হয়রানি

সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্যতম রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ। কিন্তু নানা জটিলতায় দেশটিতে ৮ বছরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ ছিল। সাথে বন্ধ ছিল আভ্যন্তরীন ভিসা পরিবর্তনের সুযোগও। ফলে আমিরাতে দিন দিন সংকুচিত হয়ে উঠেছিল দেশীয় শ্রমবাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।

কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনাতে আমিরাত সরকারের করুনায় চলতি বছরের এপ্রিল মে মাসের দিকে দেশীয় প্রবাসীদের আভ্যন্তরীন ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সাথে ভিজিট ভিসায় আগত প্রবাসীরাও বিভিন্ন কম্পানিতে কর্মী হিসেবে ভিসা লাগানোর সুযোগ পায়। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা কম্পানিতে দেশীয় প্রবাসীরা এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। ক্রমান্বয়ে আমিরাতে দেশীয় শ্রমবাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। সাথে প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও চালু হচ্ছে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিজিট ভিসায় আসার সুযোগ থাকলেও ভিসা পরিবর্তন করে কোনো কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিলো না। কিন্ত এখন ভিজিট ভিসায় এসে ভিসা লাগানোর সুযোগ আছে, সাথে আছে ইনভেস্টর বা পার্টনার হবার সুযোগও।

আমিরাতে দেশীয় কর্মীদের সরাসরি কাজের ভিসা না থাকলেও ভিজিট ভিসায় এসে বাংলাদেশীরা বৈধভাবে আমিরাতে ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগটা এখনও রেখেছে আমিরাত সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে ভিজিট ভিসাধারীদের নানাভাবে হয়রানী করে অনেক ভিজিট ভিসাধারীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন। আবার অনেককে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিমানবন্দরের কিছু অসাধু কর্মচারী বৈধ ভিজিট ভিসা, দূতাবাস এটেস্টশান, হোটেল বুকিংসহ যাবতীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট থাকা সত্বেও ভিজিট ভিসাধারীদের আসতে বাধা সৃষ্টি করছে। শুধুমাত্র এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট নামের ওপেন সিক্রেট বানিজ্যের মাধ্যমে ভিজিট ভিসাধারীদের আসতে দিচ্ছে। যাদের কন্ট্রাক্ট নেই বা কন্ট্রাক্ট করেনি তারা সব কিছু ঠিক থাকলেও আটকে পড়ে যাচ্ছে।

ইন্ডিয়া, পাকিস্তান আর নেপালের প্রায় দ্বিগুন ভাড়ায় বাংলাদেশীরা ৫০/৬০ হাজার টাকা বিমান ভাড়ায় আসতে পারলেও এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টে সেখানে আমিরাতে আসতে এক লাখ দশ থেকে দেড় লাখ ক্ষেত্র বিশেষে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় চুক্তিতে আসতে হচ্ছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তির পাশাপাশি আমিরাতের শ্রম বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ… কালের কন্ঠ