বীর মুক্তিযোদ্ধা সানু ছিলেন ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা

সানোয়ার আলী সানু ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর সভায় ডাঃ শাহাদাত হোসেন 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু ছিলেন একজন সদালাপী ও স্পষ্টবাদী মানুষ। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা চট্টগ্রামবাসী আজীবন মনে রাখবে। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। রাজনীতির পাশাপাশি শতদল ক্লাবের মতো একটি ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠনের কর্ণধার ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সানোয়ার আলী সানুর মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি। এ সময় তিনি সানোয়ার আলী সানুর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। ডা: শাহাদাত হোসেন বুধবার (১১ নভেম্বর) বাদে আসর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহানগর মুক্তিযোদ্ধাদলের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিল ও স্বরণ সভায় এ কথা বলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক। এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সানোয়ার আলী সানুর আদর্শে সবাইকে উজ্জীবিত হতে হবে। বর্তমানে দেশে যে গণতন্ত্রের ক্রান্তিকাল চলছে এসময়ে সানোয়ার আলী সানুর মত নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তিনি তার কর্মের গুণে মানুষের মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তার আদর্শকে ধারণ করে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি.সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। তাদের অবদান যুগ যুগ ধরে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু বিএনপির রাজনীতিতে সকল ধরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। চট্টগ্রাম নগর বিএনপিকে আজকের এ পর্যায়ে উন্নীত করতে তিনি নিরন্তর কাজ করে গেছেন। দোয়া মাহফিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি শামসুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হালিম শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসেন, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, শহিদুল ইসলাম শহিদ, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সালাউদ্দীন, সহ-সম্পাদক একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান, নগর সদস্য মো. ইলিয়াস, বুলবুল আহমেদ, এস এম মফিজ উল্লাহ, ছাদেকুর রহমান রিপন, হাজী মো. জাহেদ, নগর মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, নগর যুবদলের সহসভাপতি এম এ গফুর বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, তাঁতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা আবু মহসিন চৌধুরী, দিদারুল আলম প্রমুখ।