আন্দোলনে নেমেছেন গ্রামীণফোন কর্মীরা

সহকর্মীর চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন গ্রামীণফোন কর্মীরা।

বুধবার গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুই শতাধিক কর্মী সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন।

‘কর্মীদের চাকরি অধিকার নিশ্চিতে কার্যক্রম চালানো’ ইস্যুতে গ্রামীণফোন অ্যামপ্লয়িজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) এর সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদকে মঙ্গলবার চাকরিচ্যুত করে গ্রামীণফোন। যা ওইদিন হতেই কার্যকর করা হয়।

আর এর পরই বুধবার রাস্তায় নেমে আসেন কর্মীরা। সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন অপারেটরটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে।

মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদ গ্রামীণফোনের বিজনেস ডিভিশনের বিজনেস গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারনাল কমপ্লায়েন্স বিভাগের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ছিলেন।

মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদ টেকশহরডটকমকে জানান, গ্রামীণফোন কাস্টমার সার্ভিসের ৫৪ জন কর্মীকে এখনও প্লেসমেন্ট দেয়া হয়নি। এছাড়া আউটসোর্স করার মাধ্যমে টেকনোলজি ফিল্ড ফোর্স মানে রিজিওনাল অপারেশনের ১৩০ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছিল।

‘এসবের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম আমরা। এসব না করতে কর্তৃপক্ষকে নানাভাবে চাপও দেয়া হচ্ছিল। মূলত এই কারণেই আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে’ বলছিলেন তিনি।

জিপিইইউ এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, টেকনোলজি ফিল্ড ফোর্সের কাজ আউটসোর্স প্রতিষ্ঠান মেটাল প্লাস, ঢালি কনস্ট্রাকশনকে দিয়ে করাতে চায় জিপি। কিন্তু বিটিএস রং করা, ওয়াস করা, তেল ঢালার মতো কিছু কাজ ছাড়া আইন অনুযায়ী অন্য প্রযুক্তিগত কাজ আউটসোর্স করে করা যাবে না। এর জন্য আলাদা লাইসেন্স লাগে। তারা টেলিকম আইন ভেঙ্গে এটা করছে। যেখানে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে। এসব বিষয়ে সরকারকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে যেনো এটা তদন্ত করে কর্মীদের চাকরি নিরাপত্তা ও গ্রাহক সেবা নিশ্চিত হয়।

‘প্রযুক্তিগত কাজ আউটসোর্স করে করা যায় না। এতে তথ্য লিক হয়, সিকিউরিটি থাকে না, ৮-১০ হাজার টাকার বেতনের কর্মী দিয়ে সেবা ভাল হয় না’ বলছিলেন তিনি।

জিপিইইউ এর নেতারা জানান, বুধবারের আন্দোলন হতে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে রোববার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদকে চাকরি ফিরিয়ে না দিলে সারাদেশে আন্দোলনে যাবে কর্মীরা।