রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ফুলকপি

আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালেই ফুলকপির দেখা মেলে। শীতকালীন এই সবজিটি দেখতে যেমন সুন্দর, এর পুষ্টিগুণও অনন্য। নানাগুণে গুণান্বিত এই সবজি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। তাই খাওয়ার আগে জেনে নিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ। ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ যা মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। জেনে নিন সুস্বাদু আর উপকারী এই সবজিটির কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।

১. ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘কে’, যা ঠান্ডাজনিত সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, শরীর ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ঠান্ডায় কান বন্ধ হয়ে যাওয়া সমস্যা দূর করে।

২. অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া সমস্যা দূর করে ক্যালসিয়াম ও ফোরাইড; যেগুলোর বসতি ফুলকপিতে। দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় ও বাড়ন্ত শিশুর দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম যথেষ্ট উপকারী।

৩. এই সবজিতে আয়রন আছে উচ্চমাত্রায়। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি আশীর্বাদ স্বরূপ। এতে চর্বির বদলে আছে পর্যাপ্ত আমিষ, দেহ গঠনের জন্য যা খুবই প্রয়োজন।

৪. কোলেস্টেরলমুক্ত ফুলকপি তাই বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্য খাওয়া প্রয়োজন।

৫. জিহ্বায় ঘা হয় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’র অভাবে। তালুর (ওপর ও নিচের অংশের) চামড়া উঠে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়ার জন্যও এ দুটি ভিটামিনের ঘাটতি দায়ী। এ ঘাটতিগুলো পূরণ করবে ফুলকপি।

৫. ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফুলকপি। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এ সবজি। ক্যানসারের জীবাণু দেহ থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য ফুলকপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রচুর পরিমাণে আমিষ বা প্রোটিন থাকায় কিডনির জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খেতে পারেন। কারণ আমিষ ও পটাশিয়াম কিডনির জন্য উপযোগী নয়।