ঘি’তে মেশানো হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম হলুদ রং

ঘি তে যেই ঘ্রাণ পান, এই কালো জিনিশটাই সেই ঘ্রাণ!

হাটহাজারী উপজেলার চতুর্থ ভেজাল ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মধ্যম কুয়াইশের কাউয়ার বাড়ি এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান শুরু হয়।

অভিযান শুরুর আগেই পালিয়ে যায় কারখানার মালিক ও কারিগররা। একটি ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে ওই কারখানাটি গড়ে তোলা হয়। তালা ভেঙে কারখানায় ঢোকে পুলিশ।

এক ঘণ্টার অভিযানে জব্দ করা হয় নিম্নমানের ডালডা, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম হলুদ রং আর কালচে রঙের ফ্লেভার। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে অনেকটা গোপনে ডালডার সঙ্গে রং ও ফ্লেভার মিশিয়ে প্লাস্টিকের কৌটায় ভরে লেবেল লাগিয়ে বেশি দামে বাজারজাত করা হতো।

মো. রুহুল আমিন বলেন, বাজারে বাঘাবাড়ী ঘি, অনিল ঘোষের ঘি’র চাহিদা বেশি থাকায় একশ্রেণির দুর্বৃত্ত ‘ঘি সদৃশ পদার্থ’ তৈরি করে বাজারজাত করছে। এগুলোর কারণে বাজারে ভোক্তারা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, একইসঙ্গে জটিল রোগব্যাধিও কিনে নিচ্ছে। তাই আমরা জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছি।

তিনি জানান, বুড়িশ্চরের কারখানাটি থেকে আমরা ২০০ লিটার ঘি সদৃশ পদার্থ, ‘অনিল ঘোষ এর বাঘাবাড়ী স্পেশাল খাঁটি গাওয়া ঘি’ মুদ্রিত লেবেল, প্লাস্টিকের কৌটা জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলেছি। এ নিয়ে চারটি কারখানা থেকে আনুমানিক ৩ হাজার ৭০০ লিটার ঘি সদৃশ বস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।