ই-কমার্স প্লাটফর্মে পেঁয়াজ কেনা যাবে ৩৬ টাকা কেজিতে। একজন গ্রাহক আপতত একসঙ্গে ৩ কেজি পর্যন্ত কিনতে পারবেন। তবে এটি ৫ কেজি করা হবে শিগগির। আর এই পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে মাত্র ৩০ টাকা ডেলিভারি চার্জে।
শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। সরকারের টিসিবির মাধ্যমে রোববার প্রথম দিনে ৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এই পেঁয়াজের বরাদ্দ পাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি ও ই-ক্যাবের উদ্যোগে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রোববার অনলাইনে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পেয়াজ বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়ে অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজম, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় ই-ক্যাবের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ ই-ক্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারসহ অনেকেই ট্রাকসেলের পেঁয়াজ কিনতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ই-কমার্সের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামের এই পেঁয়াজ তাদের বাসায় পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টিসিবির বরাদ্দ পেলে রোববার সন্ধ্যার মধ্যে নির্দিষ্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হতে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন মানুষ।
টিসিবির কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছে ই-ক্যাব।
ই-ক্যাব জানায়, ৮টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনলাইনে পেয়াজ বিক্রি করতে পারবে। শুরুতে টিসিবির অনলাইন ডিলারশিপ পাচ্ছে ৫টি প্রতিষ্ঠান- চালডাল, স্বপ্ন অনলাইন, সিন্দাবাদ ডটকম, সবজিবাজার ডটকম ও যাচাই ডটকম।
এছাড়া সোমবার হতে বিডিসোল, একশপ ও আরও একটি প্রতিষ্ঠান এই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হতে পারে বলে জানায় সংগঠনটি। উইন্ডি নামে নারী উদ্যোক্তাদের একটি কমন প্লাটফর্ম হতেও টিসিবির পেয়াজ বিক্রি করার কথা জানানো হয়।
ই-ক্যাব বলছে, চাহিদা ও যোগানোর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আপাতত দৈনিক আধা টন করে পেয়াজ পাবে এবং তিনদিন পর পর টিসিবি থেকে পেয়াজ সংগ্রহ করবে।
এবার অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ হাজার টন পেয়াজ বিক্রির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।