দেশবিরোধীদের মেকি খোলসটা সরিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতকে শক্তিশালী করুন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের যাত্রা শুরু করে দিয়েছিলেন। তারপর বহু সময় পার হলেও দেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাত যেভাবে অগ্রসর হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে অভাবনীয় সাফল্য স্থাপন করেছেন।

চট্টগ্রাম জিপিও মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিকলীগের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কমর্চারী ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্বরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম চৌধরী আরো বলেন, প্রচলিত চিঠিপত্র বহনের জন্য যে ডাকব্যবস্থাটি ছিল, সেই নেটওয়ার্কটিকে এখন ডিজিটাল কমার্সের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক বিভাগকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রসেনা হিসেবে আধুনিকায়নের কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল ব্যবস্থা ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো অর্থব্যবস্থা থাকবে না। করোনাকালে ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ এবং ডাক বিভাগ বাংলাদেশের শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের জন্য চলার পথ কণ্টকহীন করার লক্ষ্যে দেশবিরোধীদের চেহারার ওপর থেকে মেকি খোলসটা সরিয়ে দিই এবং জনমানুষের সমৃদ্ধি বৃদ্ধির মানসে দুর্নীতিমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতকে শক্তিশালী করি।

মোজাম্মেল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন এ বি এম ফজলুল হক (রিজিওনাল ম্যানেজার ডাক-জীবন বীমা, পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম), কাজী মামুনুর রশিদ (অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল, পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম), মোহাম্মাদ তৈয়ব আলী (ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল, পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম), ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (ঊধ্বতন পোস্ট মাস্টার, চট্টগ্রাম জিপিও), মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল, চট্টগ্রাম বিভাগ), চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ আবদুল আহাদ।