প্যাকেটের ওজনই ৬৫ গ্রাম ‘মিঠাই’কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

প্যাকেট বা কার্টনসহ মিষ্টি ওজন করায় নগরের বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন এলাকার ‘মিঠাই’কে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) একজন ক্রেতার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
অভিযোগকারী ভোক্তা পাবেন জরিমানার ২৫ শতাংশ, ১ হাজার ২৫০ টাকা।

অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ভোক্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ওই দোকান থেকে মিষ্টি কিনি। এক কেজি মিষ্টিতে প্যাকেটের ওজনই ৬৫ গ্রাম। আইন হচ্ছে একজন ক্রেতা যখন কোনো পণ্য কিনবে যদি ১ কেজি বলা হয় তবে ১ হাজার গ্রামই ওই পণ্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, ১ কেজি মিষ্টির দাম ২৫০ টাকাও আছে, আবার ৫০০ টাকাও আছে। এখন প্যাকেট বা কার্টনের কেজি যদি ওই দামে আদায় করা হয় তবে ভোক্তাকে ঠকানো হয়। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের বড় বড় মিষ্টির শোরুমগুলোতে বাজার তদারকি অভিযানের মাধ্যমে আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করেছি। ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে।

এপিবিএন ৯ এর সহায়তায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

অভিযানে মেসার্স আরব মসলা স্টোরকে অননুমোদিত রং রাখায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত রং ধ্বংস করা হয়। চৌধূরী অ্যাগ্রোকে মূল্য তালিকা না রাখায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাহের স্টোরকে অননুমোদিত পণ্য রাখায় (হাকিমপুরি জর্দ্দা) ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার চৌধুরী ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় রাখায় ৪ হাজার টাকা, জনতা ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়।

খুলশী থানার লালখান বাজারের জামাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এবং পাউরুটি ও দইয়ের কৌটায় তৈরির তারিখ, মেয়াদ ইত্যাদি উল্লেখ না থাকায় ৬ হাজার টাকা জরিমানাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। একই থানার জাকির হোসেন সড়কের বিসমিল্লাহ স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।