নিজস্ব প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংঘবদ্ধ অপহরণকারীর বর্বর হামলায় গুরুতর আহত আবদুল মালেক (৩৫) ও স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৫) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহতের পর তাৎক্ষনিকভাবে চট্টগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করালেও পরিবারে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎিসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় বাড়িতেই মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
উপজেলা টইটং ইউপির কেরুণছড়ি এলাকায় গত ৬ ও ৭ আগস্ট দুই দফায় অপহরণপূর্বক হামলার শিকার হয় এ দম্পতি। পেকুয়া থানা পুলিশের হাতে এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট দুইজনকে স্থানীয়রা তুলে দিলেও অদ্যবধি আর কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। তাৎক্ষনিকভাবে আহত দম্পতির পক্ষে পেকুয়া থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আদালতের মাধ্যমে দুই আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলেও বর্তমানে অপহরণকারীরা উল্টো আহতের আসামী করে মামলা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলেও জানান আহত আবদুল মালেকের মা আরেফা খাতুন।
আহতের মা আরেফা খাতুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় গত ৬ আগস্ট রাতে আমার ছেলেকে অপহরণ করে গহীণ পাহাড়ে নিয়ে যায় টইটং ইউপির বাসিন্দা মফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ রুবেল, মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান, মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে আবুল শামা, মৃত লেদু মিয়ার ছেলে ধৃত মোঃ কাইছার, মোক্তার আহমদের ছেলে ধৃত মোঃ হাসান, নাছির উদ্দিনের ছেলে সালা উদ্দিন ও আবছার নামে এক ব্যক্তি। তার উপর বর্বর নির্যাতন করে গহীণ পাহাড়ের একটি স্থানে রেখে আসে। ওই সময় তার পিতা আবদু রহিম, গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানাসহ পরিবারের আরো বেশ কয়েকজন লোক তাকে খোঁজতে পাহাড়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করা হয়। ওই সময় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে দুই অপহরণকারীকে পাঁকড়াও করে গ্রাম পুলিশের হাতে তুলে দেন। ৭ আগস্ট সকালে অন্য আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাড়িতে হামলা করে।
এদিকে ৭ আগস্ট দুপুরে পেকুয়া থানা পুলিশের হাতে দুই অপহরণকারীকে তুলে দেয়া হয়। সাত জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করি। মামলা করার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে বলে হুমকিসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। দুইদিন চট্টগ্রামের হাসপাতালে রাখার পর নিয়ে আসতে হয়েছে। এমনিতে ছেলে আবদুল মালেকের অবস্থা খুব খারাপ। তার গর্ভবতী স্ত্রীর খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে। বর্বর নির্যাতনের কারণে এমনিতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ছেলে আবদুল মালেক। চিকিৎসা করাতে না পেরে আরো বেশি খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে। এখন তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়ায় ভয়ে দিনাপাত করছি। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সকল আসামীদের দ্রুত আটক করা হউক।
স্থানীয় ফরিদুল আলমসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আবদুল মালেক ও তার স্ত্রীর উপর বর্বর আচরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে তাদেরকে মেরে ফেলতো। এখন তাদের অবস্থা খুক খারাপ। তাদের উপর হামলাকারীর বিচার দাবী করছি।











