দুই ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি

লিটন কুতুবী:: গভীর সাগর থেকে মাছ ধরে উপকূলে ফিরে আসার পথে বঙ্গোপসাগরের জাহাজখাড়ি নামক স্থানে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় দুইটি ফিশিং ট্রলার ডাকাতি হয়েছে।
ডাকাতের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারের মাঝি জাফর আলম বলেন,গত এক সপ্তাহ পূর্বে বাঁশখালী উপকূল শেখেরকিল এলাকা থেকে এফবি মালেক,এফবি সামাদসহ অর্ধশত ফিশিং ট্রলার গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। গত মঙ্গলবার রাতে মাছ ধরে উপকূলে ফিরে আসার পথে সাগরের জাহাজখাড়ি নামক স্থানে জলদস্যুরা এফবি মালেক ফিশিং ট্রলারে হামলা চালিয়ে জেলেদের জালের গুদামে আটক রেখে মাছ,জাল,ডিজেলসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তার পাশাপাশি থাকা কলিম উল্লাহ মাঝির এফবি সামাদ ফিশিং ট্রলারটিতে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বাঁশখালী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদু শুক্কুর জানান, বিগত দুই বছর ধরে জেলেরা সাগরে শান্তিতে মাছ ধরেছে। সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসনের গতিবিধি লক্ষ্য করে জলদস্যুরা পূনরায় জড়ো হয়ে সাগরে ডাকাতি কাজে নেমে পড়েছে। ডাকাতদল বাশঁখালী, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপকূলের হতে পারে বলে ধারণা করেন।
কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন,উপকূলে জলদস্যু দমন ধারাবাহিকতা বজায় না রাখলে আগামীতে জেলেদের সাগরে ফিশিং করা দূরহ হয়ে পড়বে। তাই জলদস্যুদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।