পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে কৈশোর পার করা এই ব্যক্তি নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো ব্যয় করেছেন আওয়ামী রাজনীতির ছাঁয়াতলে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেননি এক মুহুর্তের জন্য। যার প্রেক্ষিতে স্বাধীন বাংলার জন্মের শত্রু জামাত শিবির দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন বারংবার। জয় বাংলা শ্লোগানের বজ্রধ্বনি তোলার দায়ে তাঁর সাতটি দাঁত উপড়ে নিয়েছেন আওয়ামী রাজনীতির এই জাতশত্রুরা।
বলছিলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলাধীন টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার হাজ্বীর বাড়ীর মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. বাচ্ছু মিয়ার কথা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ টইটং ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলেও ভূমিদস্যুদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছেন এই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জবদখল করে নিতে চাই তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি। যার দরুণ মামলার ফাইল বগলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদের ধারে ধারে। এক্ষেত্রে আদালতের পক্ষ থেকে সহযোগিতা ফেলেও থানা প্রশাসনের উদাসিনতাকে দায়ি করেছেন ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা বাচ্ছু।
ভুক্তভোগী মো. বাচ্ছু বলেন, কিছু স্থানীয় প্রভাব ও প্রতাপশালী রাজনীতিবিদের ছত্রছাঁয়ায় ধনিয়াকাটা ভেলুয়া পাড়া এলাকার মো. নুরুচ্ছফার ছেলে ভূমিদস্যু মো. শহিদের নেতৃত্বে রাশেদ, মো. মুরাদ, মো. কাশেম, ছমি উল্লাহসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সোনাইছড়ি মৌজার বি. এস ১৩ নং ও ৬১৫ খতিয়ানের ৩.৫০শতক জমি জবর দখল নিতে চাই। তারা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে রাতের আধারে আমার ভূমিতে স্থাপনা তৈরি করার অপচেষ্ঠায় রয়েছেন। যার কারণে আমি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার বরাবর এমআর মামলা দায়ের করি। যার মামলা ৫০৬/২০২০। তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজারের এম আর মামলা নং ৫০৬/২০২০ (স্মারক নং ৬৮৬/২০২০/এডিএম) এর সতর্কীকরণ নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আদালতের চূড়ান্ত আদেশ না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীয় জায়গায় শান্তি শৃঙ্খলা সহৃদ নিজ নিজ অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক কাজী আব্দুল মালেক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি থাকলেও ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের দ্বারা জমি জবর দখল হওয়ার পরেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী বাচ্ছু মিয়ার।