বাঁশখালীতে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফন হয়েছে ডা. আলী আশরাফ নামে এক মুক্তিযোদ্ধার। এ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (২৭ জুলাই) বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডা. আলী আশরাফ শেখেরখীল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। ডা. আলী আশরাফ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী শহীদ মৌলভী সৈয়দের বড় ভাই।
বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসাইন বলেন, ডা. আলী আশরাফ শেখেরখীল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। সকাল ১১টায় উনার জানাজা নির্ধারিত ছিল। নির্ধারিত সময়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দাফনের আগে তাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, জানাজার অনেক পরে এসি ল্যান্ড আসেন। ততক্ষণে দাফন হয়ে গেছে উনার। পরে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে ছিলাম। এসি ল্যান্ড আতিকুর রহমানকে পাঠানো হয়েছিল। দূরবর্তী এলাকা হওয়ায় তার যেতে সময় লেগেছে। রাস্তার দুই পাশে সিএনজি রাখায় গাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। কিছু পথ পায়ে হেঁটে গেছেন একারনে দেরি হয়ে গেছে। মরহুমের পরিবার একটু অপেক্ষা না করে দাফন করে ফেলেছেন। পরে উনার কবরের পাশে সম্মাননা জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফকে গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফনের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলমকে এক কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন জানান, বাঁশখালীর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
‘মঙ্গলবার তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। অভিযোগ তদন্ত করে দেখবেন। তাকে এক কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ‘











