শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধায় নগদ মূল্যে এবং বিনা সুদে সহজ কিস্তিতে ল্যাপটপ দিচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ওয়ালটনের এ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ দেয়া শুরু করেছে ওয়ালটন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝেও সহজ শর্তে ল্যাপটপ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল শিক্ষা সহায়ক উপকরণ প্রদান’ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ সুবিধায় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ দিতে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ এবং ওয়ালটনের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়ালটনের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী। এ সময় ১৬ জন শিক্ষার্থীর হাতে ডিজিটাল শিক্ষা সহায়ক উপকরণ তুলে দেয়া হয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেয়া। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে ডিজিটাল ডিভাইস তৈরির উদ্যোগ হাতে নিই। ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমরা ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন আমদানি করতাম।
তিনি বলেন, সরকারের যুগোপযোগী এই সিদ্ধান্তের কারণে ওয়ালটনের মতো আটটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন তৈরি এবং সংযোজন করছে। এমনকি ওয়ালটনের পণ্য জার্মানি এবং আমেরিকার মতো উন্নত দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদে কিস্তিতে ওয়ালটনের ল্যাপটপ দেয়া হচ্ছে।
লিয়াকত আলী বলেন, ওয়ালটনের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিনা সুদে মাত্র ১ হাজার টাকা মাসিক কিস্তিতে ল্যাপটপ দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও বিশেষ সুবিধায় ল্যাপটপ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এর ফলে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরাও অনলাইন ক্লাসে যোগ দেয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।