টেকনাফ প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ও রঙ্গিখালী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার পিচ ইয়াবাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৫। রঙ্গিখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিচ ইয়াবা সহ রোহিঙ্গা জামাল হোসেন (১৯) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে।আটক জামাল হোসেন উখিয়া উপজেলার বালুখালীর ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত ছামছু আলমের পুত্র।
অপরদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার পিচ ইয়াবা সহ নুরুল আলম (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে।আটক নুরুল আলম কক্সবাজার সদর উপজেলার আলির জাঁহাল এসএম পাড়ার বাসিন্দা মোঃ আমির হোসেনের পুত্র।
সোমবার রাতে র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী আলাদা আলাদা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২০ জুলাই) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ইয়াবা ক্রয় বিক্রয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার রঙ্গিখালী এলাকার টেকনাফ-কক্সবাজার পাঁকা সড়কের উপড় অভিযান চালায়।এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা মাদক কারবারী জামাল হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় র্যাব সদস্যরার ধাওয়া করে তাকে আটক করে।পরে তার দেহ তল্লাশী করে ১০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে।উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা প্রায়।
অপরদিকে, হোয়াইক্যং সিপিসির র্যাব সদস্যরা ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একইদিন বিকাল ৩ ঘটিকার সময় হোয়াইক্যং বাজারের টেকনাফ-কক্সবাজার পাঁকা সড়কের উপড় অভিযান চালায়।এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা মাদক কারবারী নুরুল আলম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় র্যাব সদস্যরার ধাওয়া করে তাকে আটক করে।পরে তার হাতে থাকা পলিথিন ব্যাগ তল্লাশী করে ৫ হাজার ৭’শ ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ২৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রায়।
এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মাদক আইনের পৃথক মামলায় উদ্ধারকৃত মাদকসহ ধৃত মাদক কারবারীদের টেকনাফ থানায় সোর্পদ করা হয়েছে বলে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী নিশ্চিত করেন।