জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টির সরকারই দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছিলো। পল্লীবন্ধু র দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে ২০টি মহকুমা ৬৪ জেলায় রূপান্তর, উপজেলা পদ্ধতি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, নারী নির্যাতন বিরোধী আইন, ঔষুধনীতি দেশকে ১০০শত বছর এগিয়ে নিয়েছিলো। পল্লীবন্ধু ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর চিন্তা করে প্রাদেশিক সরকার পদ্ধতি চালু করতে চেয়েছিলেন। বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের ব্রাঞ্চ হস্তান্তর করার পর প্রধান বিচারপতি তা বাতিল করলে তৎকালীন সরকারি দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু তৎকালীন সরকার বিরোধী দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও নৈরাজ্য আজ দেশের এই অরাজকতার জন্য এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি। জাতীয় পার্টি আরেক বছর ক্ষমতায় থাকলে চট্টগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ ও সিঙ্গাপুরের মত উন্নয়ন হত। প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়ন করা গেলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে এখন যে দূরাবস্তা চলছে তা থাকত না। চট্টগ্রামে এখন যারা এমপি মন্ত্রী তারা কেউ চট্টগ্রামে থাকেন না, তারা থাকেন ঢাকায়। এ কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বঞ্চিত। তাই চট্টগ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়নে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষে আগামীতে জাতীয় পার্টিকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকার হলে চট্টগ্রামের টাকায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন হবে। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সুশীল সমাজ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কমিটি গঠন করা করা হবে। তিনি পল্লীবন্ধু এরশাদের আদর্শ বাস্তবায়নে উন্নয়নকামী চট্টগ্রাম বাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহŸান জানান। তিনি আজ ১৪ জুলাই বাদে মাগরিব জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি’র পক্ষ থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বালুছড়া, জে.কে. কমিউনিটি সেন্টারে হাটহাজারী উপজেলা জাপা নেতা মুহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দীন খোরশেদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন শাহ্, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী, উত্তর জেলা জাপা সিনিয়র সহ-সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আকবর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা যুব সংহতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মুছা তালুকদার, নজরুল ইসলাম, লোকমান সিকদার প্রমুখ।
