প্রকল্প জটিলতায় করোনা মহামারিতেও ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে সারাদেশে- জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা।
সোমবার (৬ জুলাই) শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় কমিটি দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুল আরেফিন, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুনিরুল আজম।

২০১৮ সালে ১০১০ জন ক্বওমী ও ১০১০ জন আলিয়া মাদরাসার সনদদারী আলেম নিয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। ক্বওমী সনদের স্বীকৃতির পর এইটাই প্রথম ক্বওমী আলেমদের সরকারি নিয়োগ! শুরুতে ইফার নিজস্ব সিলেবাসে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও ২০১৯ সালে এসব মাদরাসা ৫ম শ্রেণীতে উন্নিত করা হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদায় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। কিন্তু গত ১১ মে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি পাশ হলেও প্রকল্প থেকে দারুল আরকামকে বাদ দেওয়া হয়। এতে ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ যেমন অন্ধকারে তেমনি ২ হাজার আলেম শিক্ষক বেতনহীন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
স্মারকলিপিতে দারুল আরকাম মাদরাসা শিক্ষকদের দুর্দশা ও হতাশার কথা উল্লেখ করে- প্রকল্প জটিলতা নিরসন করে আসন্ন কুরবানি ঈদের আগে বকেয়া বেতনভাতা প্রদান। শিক্ষকদের নিয়মিত জনবল হিসাবে উল্লেখ করে স্কেল ভিত্তিক বেতন-ভাত প্রদান সহ ৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা কমিটির স্মারকলিপি প্রদানকালে দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ফোরকান, হাফেজ মাওলানা আসিফুর রহমান, মাওলানা আলী জাবেদ, নুরুল কবির, জাকারিয়া আরফাত,শহিদুল কাদের, আব্দুল কাদের, আব্দুল হান্নান, আমিনউল্যাহ সহ চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলার শিক্ষকবৃন্দ।