উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল আনোয়ার

উপসর্গ নিয়ে শেষ পর্যন্ত পরপারে চলে গেলেন চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল আনোয়ার।

আজ বুধবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ১২টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা যান ফটিকছড়ির সন্তান (ইন্নালিল্লাহে…রাজিউন)।

তাঁর ছেলে আব্দুল আহাদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ একমাসের বেশী সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্বা। এ একমাস শত চেষ্টা করেও বাবার করোনা টেস্ট করতে পারেন নি।

চমেকের চিকিৎসকরা বরাবেই চিকিৎসার বিষয়ে এবং করোনা টেস্টের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি। দেশের একজন স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ হয়েও তিনি যথাযত চিকিৎসা পান নি।

আহাদ জানান, আব্বার মরদেহ ফটিকছড়ির গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে সকালে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে।

এদিকে পরিবারে অনুরোধে একজন সাংবাদিক এই চিকিৎসকের করোনা টেষ্ট এবং সুচিকিৎসার জন্য বিএমএ নেতাদের এবং চমেকের কয়েকজন চিকিৎসকে ফোন করে অনুরোধ করার পরও তার করোনা টেষ্ট করাতে ব্যর্থ হন। আলোচিত এক বিএমএ নেতাকে ফোন করে অনুরোধ করার পর তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। অথচ তিনি কিছুই করেন নি। উল্টো একঘন্টা পর ওই নেতা সাংবাদিককে ফোন করে বলেন, ডা, শহীদুল আনোয়ার স্যার এখন অনেক সুস্থ। উনাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে বাসায় চলে যেতে বলা হলেও তিনি যাচ্ছেন না। অথচ শহীদুল আনোয়ার তখনো আইসিইউ ভিতরে। এ তথ্য নেতাকে বলার পর তিনি ফোন কেটে দেন বলে জানান এই সাংবাদিক।

চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টর’স সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি (এফডিএসআর) রাতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারির সাবেক চিকিৎসক ডা. শহিদুল আনোয়ার মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।