শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন তার বাড়ীর অদুরে সাহানগর এলাকায় দুটি বড়পুকুর ১১ একর জমিতে মাটি খনন করে গড়ে তোলেছে মৎস প্রকল্প । রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেনের মৎস প্রকল্পে রুই,কাতলা, মৃগেল,কালিবাউশ, তেলাপিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে । মৎস প্রকল্পের পাশে রয়েছে ফলের বাগান ।
ফলের বাগানে রয়েছে মাল্টা, আম,কমলা, থাই পেয়ারা, সরিফা, আতা, লেবু, আমলকি,জলপাই,জাম্বুরা, হরিতকি, পেপেঁ, পেয়ারা, গাছ, মৎস প্রকল্পের পাড়ে, বাগান বাড়ীর আঙ্গিনায় ঢেড়শ, বরবটি, করলা, ঝিঙ্গা,পরুল, শাক সব্জির চাষাবাদ । রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেন বলেন মৎস প্রকল্পের জন্য জমিগুলো জমির মালিকদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছি । মাছ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান, সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করে আসছি । মাছ চাষের প্রকল্প ও ফলের বাগান, সব্জি ক্ষেত করতে খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকা । মৎস প্রকল্প থেকে উৎপাদিত মাছ ও সব্জি বিক্রয় করে এপযন্ত দশ লাখ টাকা আয় করা হয়েছে । মৎস প্রকল্পে যে পরিমান নতুন করে মাছের পোনা দেওয়া হয়েছে । মাছের পোনা বড় হলে মৎস প্রকল্প থেকে ৫০ লাখ টাকার মাছ উৎপাদিত হবে বলে আশা করছেন রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেন । রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদের মৎস প্রকল্পে ও ফল চাষের বাগান ও সব্জি ক্ষেতে ১০জন কর্মচারী রয়েছে । রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেন,কর্মচারীদের নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সারদিন মৎস প্রকল্পে ও ফলের বাগানে কাজ করেন। রাউজান উপজেলা মৎস অফিসার পিযুষ প্রভাকর বলেন, রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেন একজন সফল মৎস চাষী । রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার শাব্বির আহম্মদ বলেন পৌর কাউন্সিলর আজাদ হোসেনের মৎস চাষ প্রকল্পের চারিদিকে ও পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান ও সব্জি ক্ষেত দেখলে মনে হয় দেশের কোন নামকরা পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র । রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেনকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান গড়ার কাছে রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সহায়তা প্রদান করে আসছে । এবার পৌর কাউন্সিলর আজাদ হোসেনকে ৬০টি মাল্টা চারা ও সার প্রদান করা হয়েছে বলে রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার শাব্বির আহম্মদ জানান ।