‘বাঁশখালীতে আপেল প্রতীকের সমর্থকদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঁশখালীর আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল বলেছেন ,বাঁশখালীতে যখন নির্বাচনী ডামাডোল বেজে উঠেছে তখনই নির্বাচন বানচাল করতে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে এ উপজেলার আওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।

এসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বাঁশখালী নাগরিক ঐক্য পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর এমনকি প্রচারনার মাইক পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বাঁশখালীর শেখেরখীলের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের প্রকাশ্য মহড়া দিয়ে এলাকায় মিছিল করে ভোটারদের মাঝে ভীতিকর অবস্থা তৈরী করছে । তারা নিশ্চিত পরাজয় জেনে আপেলের প্রচারে বাধা, হামলা ও কর্মীদের মারপিটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। গত কয়েকদিন আমাদের অনেক নেতা কর্মীকে মারপিট করেছে। আপেলের নির্বাচনী প্রচারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা করলে তাদের আমরা প্রতিহত করতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। সুষ্ঠ ও সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আত্মরক্ষার্থে আমরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছি।’ কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আপেল প্রতীকের যে সমস্ত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবী করে বলেন, যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই, অভিযোগ নেই। তারপরও তাদেরকে বিনা কারণে আটক করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে এ অন্যায় গ্রেফতার বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

অধ্যক্ষ জহিরুল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমার নির্বাচনী প্রতীক আপেলের সমর্থকদের উপর ব্যাপকহারে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। তাদের অন্যায় অত্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং এলকা ত্যাগের হুমকি-ধামকি দিয়ে আপেল প্রতীকের সমর্থকদেরকে এলাকাছাড়া করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে কোন প্রকার মামলা না থাকা সত্তেও নাগরিক ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীদেরকে বিনা কারণে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁশখালীর আওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান গণ মূলত আপেল প্রতীকের প্রচারনায় প্রতিনিয়ত হুমকি ও বাধা সৃষ্টি করে নির্বাচনী পরবেশকে ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।

লিখিত বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান এবং তাদের সমর্থকরা বর্তমানে আপেলের প্রতীকের প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি করে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। তারা ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী প্রতীক আপেলের পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে ব্যাপকহারে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্গণ করছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার আপেল প্রতীকের সমর্থকরা শান্তভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসলেও তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ অন্যায়ভাবে পোস্টার ও লিপলেট ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাব– মাইকি ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবং বিভিন্ন জায়গায় আপেলের সমর্থকদেরকে নাজেহাল করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জি.এম.সাইফুল ইসলাম, হামেদ হাসান এলাহি, আহসান উল্লাহ, এমরানুল হক, মোজাফ্ফর হোসাইন মেম্বার, আকতারুজ্জামান মেম্বার । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এডভোকেট আবু নাসের ।