মনে হচ্ছে দেশে করোনা বলে কিছু নেই

দু’দফা কঠোর লকডাউন। কি করা যাবে, কি করা যাবে না। এন্তার গাইড লাইন। পরিস্থিতি করুণ হবে। খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলদের এমন আওয়াজ। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু, বাড়ছে সংক্রমণ।

মাঝখানে চাউর হলো প্রয়োজনে কারফিউ। সব চাপিয়ে আজ থেকে পুরোদমে খুলেছে সব বন্ধ দরোজা।

রাজধানীর সড়কের চেহারা দেখলে মনে হবে, দেশে করোনা বলে কিছু ছিল কি?

নগরীর প্রায় প্রতিটি সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। এবড়ো খেবড়ো হয়ে চলছে সবরকম বাস। সবরকম গণপরিবহনের ভিড়। সরব রাজধানীর সব বাস স্টপেজগুলো। রাজপথে শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। সকল গাড়িই যেন দু সপ্তাহের ঘুম ভেঙে রাস্তায় নেমেছে একসঙ্গে। আজ থেকেই খুলে গেছে সব বিপনী বিতান।

প্রতিবেদকের টিকাটুলি থেকে কারওয়ান বাজার পৌঁছাতে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। অথচ অন্যান্য দিন ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিটই যেখানে যথেষ্ট। আর অফিস আসার পথে সরজমিন মতিঝিল, ফকিরাপুল, কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার, সাতরাস্তা প্রতিটি পয়েন্টেই মাত্রাতিরিক্ত যানজটের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

চলতি পথের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি চোখে পড়েনি। যাত্রী, চালক সকলেই করোনা ছুটিতে এমনটাই বলাবলি করছে। ব্যাংকগুলোর সামনেও গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে।

আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ঢাকার প্রবেশ মুখে গাবতলী, আমিনবাজার, ডেমরা, চিটাগাং রোড, গাজীপুর, উত্তরা, নবাবগঞ্জের প্রতিটি পয়েন্টেই যানজট। সদরঘাটের নৌ রুটেও শহরে প্রবেশ করছে হাজার হাজার মানুষ। সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে স্রোতের মতো শহরে ঢুকছে মানুষ।

পান্থপথে বসুন্ধরা শপিং মলে মার্কেট খোলার আগে থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পান্থপথ থেকে সার্কফোয়ারা মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের দেখা মেলে।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পরামর্শ দিলেও ‘ঈদ উদযাপন ও দরিদ্র মানুষের রোজগারের স্বার্থে’ তা শিথিল করেছে সরকার। এ নিয়ে জারি করেছে প্রজ্ঞাপনও। ঈদ শেষে ২৩শে জুলাই থেকে ফের কঠোর লকডাউন শুরুর কথা রয়েছে।