চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে এই আ্যালার্ট জারি করা হয়। অ্যালার্টের অংশ হিসেবে বন্দরে সকল প্রকার জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা বন্ধ ও পণ্যবাহী জাহাজগুলো জেটি থেকে সমুদ্রে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান বন্দর সচিব ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস থেকে ৬ নম্বর সিগন্যাল জারির পর অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। এরপর সকল প্রকার জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। জেটি থেকে পালাক্রমে জাহাজ সাগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেটিতে থাকা জাহাজে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তিনি জানান, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারসহ বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ রয়েছে ১৬০টি। বন্দর জেটিতে অবস্থান করছে ১৫টি জাহাজ।
দুপুরে দুটি জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গভীর সাগরে অবস্থানরত সব জাহাজকে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন সচল রাখার এবং গভীর সাগরে নিরাপদ অবস্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বন্দরের তথ্যমতে, ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। এরমধ্যে ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর অ্যালার্ট-১, ৪ নম্বর সংকেতের জন্য অ্যালার্ট-২, বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বাংলাদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রবল সাইক্লোন ‘আম্ফানে’র কারণে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। আজ বিকেল ৩ নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো বলে জানান পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাজহারুল ইসলাম।