শফিউল আলম, রাউজান ঃ পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে প্রায় বহু বছর বিদেশে কাটিয়েছেন। কিন্তু প্রবাস জীবনের আয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি তার। তবে বিদেশে থাকতেই দেশে ফিরে কিছু একটা করার চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই দেশে ফিরে বাড়ির পাশে প্রথমে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন।
রাউজান উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের জয়নগর বড়ুয়া পাড়া এলাকার প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ুয়া মল্টা গাছের চারা রোপন করেন । মাল্টা গাছের চারা রোপন করার পাশাপাশি মাল্টা গাছের ফাঁেক ফাকেঁ আম, লিচু, কলা, লেবু কমলা, সবেদা, গেঅলাপ জাম গাছৈর চারা রোপন করেন ।
দুই একর জমিতে মাল্টা গাছ সহ অনান্য ফলের বাগান গড়তে প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ুয়ার ৯ লাখ টাকা খরচ হয় । গত ২ বৎসর পুর্বে প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ুয়ার গড়ে তোলা মাল্টা গাছের বাগানে গত বৎসর ফলন এসে । বাগানের প্রথম ফলনের মাল্টা প্রেমতোষ বড়ূয়া এলাকার লোকজন ও আত্বিয় স্বজনকে ও বৌদ্ব বিহারের মধ্যে দেয় । এ বৎসর ও মাল্টা গাছে প্রচুর পরিমাণ ফলন এসেছে । প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ুয়ার মাল্টা বাগানে কোন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেনা। মাল্টা বাগানের মধ্যে ্একটি ঘরের মধ্যে গরুর গোমর দিয়ে তৈয়ারী করা হচ্ছে জৈব সার । ঘরের মধ্যে ড্রামে ও গামলায় গরুর মুত্র, তামাক তৈয়ারীর মিঠা, বেষন, গাছের পাতা দিয়ে তৈয়ারী করছে জৈব কীটনাশক গরুর গোমর দিয়ে তৈয়ারী করা হচ্ছে জৈব সার ঘরের মধ্যে ড্রামে ও গামলায় গরুর মুত্র, তামাক তৈয়ারীর মিঠা, বেষন, গাছের পাতা দিয়ে তৈয়ারী করছে জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করে বিষমুক্ত মাল্টার উৎপাদন করছেন প্রেমতোষ বড়ুয়া । এবৎসর মাল্টা গাছের যে ফলন এসেছে তা পাকার পর মল্টা পাকার পর বাজারে বিক্রয় করবেন প্রেমতোষ বড়ূযা । প্রবাষ ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ূয়া বলেন, প্রথমে মল্টা বাগান করার পর মাল্টা গাছে বিভিন্ন রোগ বলাই শুরু হয় ।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করার পর কোন উপকার না পাওয়ায় কৃষি গবেষনা অফিসে যোগায়েগ করি । কৃষি গবেষনা অফিসে থেকে যে পরার্মশ দেয় তাদের পরার্মশ মোতাবেক বাগানের গাছের পরিচর্যা ও ঔষধ প্রয়োগ করে ভাল ফলাফল না আসায় ফেইসবুকের মাধ্যমে ভারতের মাল্টা চাষীদের সাথে যোগায়োগ করি । ভারতের মাল্টা চাষী ও ভারতের কৃষি বিভাগের দেওয়া পরার্মশ ফেইসবুকের মাধ্যমে ও ইমেইলের মাধম্যে আমার কাছে প্রেরণ করেন । ভারতের মাল্টা চাষী ও ভারতের কৃষি বিভাগের দেওয়া পরার্মশ মেতাবেক গরুর গোমর দিয়ে তৈয়ার করা জৈব সার,গরুর মুত্র, তামাক তৈয়ারীর মিঠা, বেষন, গাছের পাতা দিয়ে তৈয়ারী জৈব কীটনাষক নিজেই তৈয়ার করে ঐ ঔষধ প্রয়োগ করার পর ভাল ফলাফল পায়। আমার মাল্টা বাগান রোগ বালাই থেকে মুক্তি পায় । আমি একমাত্র ব্যক্তি দেশে নিজের তৈয়ারী জৈব সার ও নিজের তৈয়ারী জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করে মাল্টা ও অনান্য ফলের বাগান করিছি । প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ূয়া াারো বলেন আমাম মতো পদত্বি অবলম্বন করে কোন কৃষক মাল্টা গাছের বাগান করলে তার অর্থ সাশ্রয় হবে ও বিষমুক্ত ফল উৎপাদন করে দেশের মানুষ বিষমুক্ত ফল খেয়ে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবে । প্রেমতোষ বড়ুয়া তার মাল্টা গাছের বাগানের জন্য রাউজান উপজেলা কৃুিষ সম্প্রসারণ অফিস থেকে বাগোনে পানি সেচ দেওয়ার জন্য দুটি বৈদ্যুতিক মোটর ও সেচ পাইপ দিয়েছেন। রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার শাব্বির আহম্মদ বলেন, প্রেমতোষ বড়ূযার একক মাল্টা বাগান স্থাপনে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরসার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছে । ব।রকে কর্মরত এস ও, সৌরভ মুৎসদী নিয়মিত বাগন পরিদর্শন করে আসছেন । প্রেমতোষ বড়ুয়ার বাগানে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ও ফ্রটস লিউর ব্যবহার করা হচ্ছে । যা সর্ম্পুণজৈবিক ভাবে করা হচ্ছে। কীটনাশক বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করে পরিবেশ তথ্ াবিষমুক্ত ফল বাজারে থেকে সাধারন মানুষ ক্রয় করে খেলে তাদের স্বাস্থ্যঝুকি থাকবেনা ।