সৈকত সংলগ্ন এলাকা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং

    ঘূর্ণিঝড় আম্পান ধেয়ে আসছে। এটি আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ উপকূলে। এরইমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে 6 নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হযেছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    উপকূলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সৈকত সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষ যাতে আগেই নিরাপদ অবস্থানে সরে যায়, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় বৈঠক করা হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সতর্ক সংকেত বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারেন। পাশাপাশি উপকূল এলাকা থেকে মানুষ যাতে সরে যায় সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে কেন্দ্র করে আবহাওয়া অফিস 6 নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে। তবে এ বিপদ সংকেত সন্ধ্যার দিকে বাড়তে পারে বলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় 6 নম্বর সংকেত রয়েছে। তবে সন্ধ্যার দিকে এ সংকেত বাড়তে পারে। নৌযানসহ বড় বড় জাহাজগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বেশ কিছু নির্দেশনাও জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত লোকাল জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলোকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উজানে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। একইভাবে বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজগুলোর ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।