মেয়ের পড়ায় খরচ যোগাতে শ্রমিকের কাজ করে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া
লিটন কুতুবী :
একমাত্র মেয়ের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে লবণ মাঠের শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম (৩৫)। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার (১৭ মে) কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নে আলী বাপের পাড়া এলাকায় সরজমিনে গেলে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগমের লবণ মাঠে পুরুষের ন্যায় কাজ করার দৃশ্য চোখে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৫ বছর পূর্বে লেমশীখালী ইউনিয়নের আলী বাপের পাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের মেয়ে রাজিয়া বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের আকবর আলী সিকদার পাড়ার মৃত হাজী আব্দু ছমতের ছেলে মৌলভী শাহ জাহানের সাথে সামাজিক নিয়মনীতি মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় সাত মাসের সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় স্বামী কতৃর্ক তালাক প্রাপ্ত হয়। তখন থেকে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম ছোট্ট মেয়ে উম্মে হাবিবাকে নিয়ে খুব কষ্ট করে দিনাতিপাত করে যাচ্ছেন। জীবনের তাগিদে কখনও মানুষের বাড়িতে ঝিয়ে কাজ করতেন। আবার কখনো গার্মেন্টস কর্মীর কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগমের মেয়ে উম্মে হাবিবা (১৩) লেমশীখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। বিগত দুই বছর পূর্বে রাজিয়া বেগমের পিতা আবুল কালাম মারা গেলে গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার জন্য এই স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা পুরুষের ন্যায় লবণ মাঠের শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে লেমশীখালী ইউনিয়নের আলী বাপের পাড়া এলাকায় ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে লবণ মাঠ শুরু করেন। দিনরাত লবণ মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শুধু মাত্র মেয়েকে লেখাপড়া করায়ে মানুষের মত মানুষ গড়ার জন্য। বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ে জীবন যুদ্ধে হার মানেনি রাজিয়া। তার মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে বর্তমানে শঙ্কিত রয়েছেন। আদৌ কি পারবেন মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে। তবে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম পায়নি বিধবা বা স্বামী পুরত্যক্ত ভাতা। দুই বছর পূর্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ভিজিডির কার্ড পেয়েছেন। তা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। প্রতিবেশী ও আত্নীয়স্বজনরা সহযোগিতা করায় এ পর্যন্ত হার না মানা জীবন যুদ্ধে রেঁেচ আছেন। পরিশ্রম আর মনোবল শক্ত থাকায় তার স্বপ্ন পূরণ হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম বলেন, বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী কতৃর্ক তালাক প্রাপ্ত হওয়ার পর আমার গর্ভে কন্যা সন্তান ভূমিষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত লালন করে আসছেন। তার সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করার স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় আছেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান। কখনো মানুষের বাড়িতে ঝিয়ে কাজ করি,কখন গার্মেন্টস কর্মীর কাজ, কখনো শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও লবণের মূল্য কম থাকায় চরম আর্থিক অনটনে দিনাতিপাত করছি। সরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা পেলে আমার মেয়েকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারলেই আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।
রাউজানে কৃষি জমি ভরাট করার হিড়িক দিন দিন কৃষি জমির পরিমান হৃাস পাচ্ছে ব্যহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন
শফিউল আলম রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করে আবসিক ও বাণ্যিজিক ভবন নির্মান করার হিড়িক পড়েছে । রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া, এয়াসিন নগর, জানিপাথর, বৃকবানপুর, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, গণিপাড়া, পুর্ব ডাবুয়া, কেউকদাইর, কান্দি পাড়া, হাসান খীল, হিংগলা, দক্ষিন হিংগলা কলমপতি,নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নদীম পুর, ফতেহ নগর, নোয়াজিশপুর, গহিরা ইউনিয়নের কোতয়ালী ঘোনা, দলই নগর, বিনাজুরী ইউনিয়নের লেলাঙ্গারা, জাম্বইন, পশ্চিম বিনাজুরী, ইদিলপুর, রাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম রাউজান, হরিশখান পাড়া, কেউটিয়া, পুর্ব রাউজান, জয়নগর বড়ুয়া পাড়া, রশিদর পাড়া, শমশের নগর, রানী পাড়া পশ্চিম রাউজান বড়ুয়া পাড়া, মঙ্গলখালী, পশ্চিম রাউজান জারুল তলা, মোহাম্মদপুর, মাঝি পাড়া, কদলপুর ইউনিয়নের কালকাতর পাড়া, শমশের পাড়া, পশ্চিম কদলপুর, মীর বাগিচা, আমির পাড়া, কদলপুর, মানসি পাড়া, ভোমর পাড়া, জয় নগর বড়ুয়া পাড়া, পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়া, শেখ পাড়া, মহামুনি, খান পাড়া, পাহ্ড়াতলী চৌমুহনী, দেওয়ান পুর. পুর বদু পাড়া, দমদমা, র্পুব গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা, আধার মানিক, পশ্চিম আধার মানিক, হোয়ারাপাড়া, সাতবাড়িয়া বড়ঠাকুর পাড়া, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া, মজিদা পাড়া, কাসম নগর, গোলজার পাড়া, ডোমখালী, মগদাই, বদু মন্সি পাড়া সরকার পাড়া, মীরধার পাড়া, উরকির চর ইউনিয়নের হার পাড়া, মইশকরম, মীরা পাড়া, আবুল খীল, খলিফার ঘোনা, উরকিরচর, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পটিয়া পাড়া, সামমাহলদার পাড়া, মোকামী পাড়া, কচুখাইন, শেখ পাড়া, উভলং, পালোয়ান পাড়া, শেখ পাড়া সুর্য সেন পল্লী, বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি, পাচঁখাইন, খৈয়াখালী, কোয়ে পাড়া, সওদাগর পাড়া, রাউজান পৌরসভার আইলী খীল, ওয়াহেদের খীল, ঢালার মুখ, পশ্চিম রাউজান চারাবটতল, বাইন্যা পুকুর, ডাক্তার খানা, ঢেউয়া পাড়া, সাপলঙ্গা, সাহানগর, দলিলাবাদ, ছত্র পাড়া, দাশ পাড়া পালিত পাড়া, শরীফ পাড়া, হাজী পাড়া, সুলতান পুর ছিটিয়া পাড়া, সুলতান পুর কাজী পাড়া, বাচাঁ মিয়ার দোকান, বড় বাড়ী পাড়া, বেরুলিয়া, সুলতান পুর কাজী পাড়া, পশ্চিম সুলতান পুর, পুভৃ গহিরা, গহিরা মোবারক খীল, দক্ষিন গহিরা, পশ্চিম গহিরা এলাকায় ফসলী জমিতে মাটি ভরাট করে নির্মান করা হচ্ছে আবাসিক ও্র বাণিজ্যিক ভবন । প্রতিনিয়ত কৃষি জমি মাটি ভরাট করে আবাসিক ও বাণ্যিজিক ভবন নির্মান করায় প্রতিনিয়ত রাউজানে ফসলী জমির পরিমাণ হৃস পাচ্ছে । ফসলী জমির পরিমান হৃাস পাওয়ায় ফসল উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে আসছে । এছাড়া ও এলোপাতারী অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জ,ি ভরাট করে আবাসিক ও বাণ্যিজিক ভবন নির্মান করায় বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি পানি প্রবাহিত হতে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি হয়ে প্রতি বৎসর বর্ষার মৌসুমে জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে এলাকার মানুষের বসতবাড়ী ও ফসলী জমির ফসল, জনগনের চলাচলের সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে । বর্ষার মৌসুমে পানি চলাচল করতে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি হয়ে বিপুল পরিমান ফসলী জমি পানিতে ডুবে থাকায় অনাবাদী হয়ে পড়েছে । কৃষি জমি ভরাট কাজে হালদা নদী, কর্ণফুলী নদী, সর্তাও খাল থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ও চর কাটা মাটি ও পাহাড়ী এলাকার পাহাড় সও টিলা কাটা মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনাযৈদ কবির সোহাগ বলেন ফসলী জমি মাঠি ভরাট করে আবাসিক ও বাণিষ্যজিক ভবন নির্মান করা বেআইনী । কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করে আবাসিক ও বাণ্যিজিক ভবন নির্মান যে খানে হউক না কেন অভিযাণ চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
ছবির ক্যাপশনঃ রাউজানের পুর্ব রাউজান এলাকায় বন বিভাগের পাহাড়ী জমি অবৈধ দখল থেকে উদ্বার করে সামাজিক বনায়ন করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির জীবন যুদ্ধে হার না মানা গল্প,
————————————–
মেয়ের পড়ায় খরচ যোগাতে শ্রমিকের কাজ করে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া
লিটন কুতুবী :
একমাত্র মেয়ের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে লবণ মাঠের শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম (৩৫)। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার (১৭ মে) কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নে আলী বাপের পাড়া এলাকায় সরজমিনে গেলে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগমের লবণ মাঠে পুরুষের ন্যায় কাজ করার দৃশ্য চোখে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৫ বছর পূর্বে লেমশীখালী ইউনিয়নের আলী বাপের পাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের মেয়ে রাজিয়া বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের আকবর আলী সিকদার পাড়ার মৃত হাজী আব্দু ছমতের ছেলে মৌলভী শাহ জাহানের সাথে সামাজিক নিয়মনীতি মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় সাত মাসের সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় স্বামী কতৃর্ক তালাক প্রাপ্ত হয়। তখন থেকে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম ছোট্ট মেয়ে উম্মে হাবিবাকে নিয়ে খুব কষ্ট করে দিনাতিপাত করে যাচ্ছেন। জীবনের তাগিদে কখনও মানুষের বাড়িতে ঝিয়ে কাজ করতেন। আবার কখনো গার্মেন্টস কর্মীর কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগমের মেয়ে উম্মে হাবিবা (১৩) লেমশীখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। বিগত দুই বছর পূর্বে রাজিয়া বেগমের পিতা আবুল কালাম মারা গেলে গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার জন্য এই স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা পুরুষের ন্যায় লবণ মাঠের শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে লেমশীখালী ইউনিয়নের আলী বাপের পাড়া এলাকায় ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে লবণ মাঠ শুরু করেন। দিনরাত লবণ মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শুধু মাত্র মেয়েকে লেখাপড়া করায়ে মানুষের মত মানুষ গড়ার জন্য। বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ে জীবন যুদ্ধে হার মানেনি রাজিয়া। তার মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে বর্তমানে শঙ্কিত রয়েছেন। আদৌ কি পারবেন মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে। তবে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম পায়নি বিধবা বা স্বামী পুরত্যক্ত ভাতা। দুই বছর পূর্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ভিজিডির কার্ড পেয়েছেন। তা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। প্রতিবেশী ও আত্নীয়স্বজনরা সহযোগিতা করায় এ পর্যন্ত হার না মানা জীবন যুদ্ধে রেঁেচ আছেন। পরিশ্রম আর মনোবল শক্ত থাকায় তার স্বপ্ন পূরণ হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে স্বামী পরিত্যক্ত রাজিয়া বেগম বলেন, বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী কতৃর্ক তালাক প্রাপ্ত হওয়ার পর আমার গর্ভে কন্যা সন্তান ভূমিষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত লালন করে আসছেন। তার সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করার স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় আছেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান। কখনো মানুষের বাড়িতে ঝিয়ে কাজ করি,কখন গার্মেন্টস কর্মীর কাজ, কখনো শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও লবণের মূল্য কম থাকায় চরম আর্থিক অনটনে দিনাতিপাত করছি। সরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা পেলে আমার মেয়েকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারলেই আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।








