২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস

আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই ১৯৭১ সালে এসে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে জাতীয় পর্যায়ে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

এরই মধ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। বুধবার সকালে ঢাকাসহ সারা দেশে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এছাড়া জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ২৫ মার্চের কালরাত স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এ সময় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

পরে, আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ২৪ এর সঙ্গে ৫২ কিংবা ৭১ কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই। বৈষম্য, অন্যায় ও ন্যায্যতার প্রশ্নে বাঙালি জাতি প্রতিবারই উঠে দাঁড়িয়েছে। বিভাজিত না হয়ে জাতীয় প্রশ্নে সবাইকে এক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।