সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যে ঐক্য নিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি, আসুন যে কোনো মূল্যে আমরা ঐক্য ধরে রাখি। ঐক্য ধরে রেখে জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীতে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে সমস্যা সৃষ্টি হলে আলোচনায় বসবো। যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে, যাতে করে পতিত স্বৈরাচার শক্তি আমাদের কাঁধে চেপে বসতে না পারে। আদর্শ ভিন্ন হলে আমরা দেশে ও দেশের মানুষের জন্য এক।

তিনি বলেন, এক উদ্ভব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। গণতন্ত্র হচ্ছে, নির্ভয়ে নির্বাচন করা। অথচ এটিকে সংস্কারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। অনেকে বলেছেন, ‘সংস্কারের আগে নির্বাচন হবে না’। সংস্কার তো শেষ হয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২ বছর আগে স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। বিএনপির মূল লক্ষ্য দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির নেতা শাহাদত হোসেন সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।