নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের ফিসারীঘাটে গড়ে উঠা দেশের অত্যাধুনিক ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সদস্যরা।
শুক্রবার (২১ শে মার্চ) সকালে সোনালী মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সভাপতি মো: আলী সওদাগরের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নূর হোসেন সওদাগর, এনামুল হক সওদাগর, কুতুবউদ্দিন সওদাগর, আব্দুর শক্কুর সওদাগর, সৈয়দ নূর সওদাগর।
এই সময় বক্তারা বলেন , মৎস্য শিল্পের সাথে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পূর্নবাসন ছাড়া এই মাছ বাজার উচ্ছেদ করলে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এবং ২২ হাজার মৎস্য আহরণকারী বেকার হয়ে যাবে। যা বাংলাদেশ এর অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে। কর্ণফুলী তীর ঘেঁষে শিপ ইয়ার্ড, বরফ কল মেরিনার্স পার্ক গড়ে উঠলে এদের বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের সবচেয়ে বড় এই মাছ বাজার উচ্ছেদ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ তীর ভরাট করে নয় কর্ণফুলী ক্যাপিটাল ড্রেজিং দ্বারা সৃস্ট ভূমিতে মাছ বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। এর পেছনে চট্টগ্রাম বন্দরের কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে। পরিত্যক্ত বস্তিতে রূপান্তরিত হওয়া জমিতে বৈধভাবে মাছ বাজার গড়ে তোলা হয়েছিলো। এখন পরিবেশের ধুয়ো তুলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মৎসজীবিদের উচ্ছেদ করে পুরনো বস্তিতে ফেরত নিতে চায়। ‘
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর সব দেশে মাছের পাইকারী বাজার নদীর তীরে অবস্থিত। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে লিজ নিয়ে অর্ধ শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা নতুন ফিসারীঘাট নিয়ে ভূমিদস্যুদের চোখ পড়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রায় দুই শত কোটি টাকা লোন নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে। তাদের পুনর্বাসন ছাড়া বাজার উচ্ছেদ ক্ষতিকর প্রভাব বয়ে আনবে
দুপুরে জুলাই আগষ্টে নিহত চট্টগ্রাম এর প্রথম শহীদ ওয়াসিম এবং তানভীর সহ জুলাই বিপ্লবে নিহত সকল শহীদের স্মরনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত করে সংগঠনটি । এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ওয়াসিম এর পিতা শফি আলম এবং শহীদ তানভীরের পিতা সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য সীমিতির সদস্য শহীদ তানভীরের পিতা বাদশা সহ আহত পরিবারের সদস্যরা।
পরে জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতদের পরিবার এবং সমিতির সদস্য – সুবিধাবঞ্চিত মৎস্যজীবীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।